ঢাকার নবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গরুর রশি ছেঁড়া দৌড় প্রতিযোগিতা। গতকাল বিকালে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের বিলপল্লী এলাকায় বিলপল্লী সবুজ সংঘের আয়োজনে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতাটি উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও কুয়েত প্রবাসী ব্যবসায়ী মো. আয়ুব হোসেন চুন্নু মিয়া। চুন্নু মিয়া তার বক্তৃতায় বলেন, শত বছরের ঐতিহ্য গরু দৌড় প্রতিযোগিতা চলমান থাকুক। এসব ঐতিহ্য ধরে রাখতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
দোহার-নবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে নানা আকারের, নানা রঙের শতাধিক গরু নিয়ে আসেন শৌখিন প্রতিযোগীরা। এটা দেখতে ভিড় করেন হাজারও নারী-পুরুষ। প্রতিযোগিতা উপলক্ষে সেখানে বসেছিল দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা। এ যেন হিন্দু, মুসলিম সব বয়সী নারী-পুরুষের মিলনমেলা। কালের পরিক্রমায় অনেকটা হারিয়েই যেতে বসেছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য এই গরু দৌড় প্রতিযোগিতা।
বিজ্ঞাপন
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে প্রতি বছরের মতো এবারো গরু দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বাংলা পঞ্জিকা হিসাবে পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়।
প্রতিযোগিতা দেখতে দুপুর ১টার পর থেকেই নানা বয়সী মানুষ দলে দলে ছুটে আসে। মুহূর্তে মাঠের চারপাশ ভরে যায়। অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গ্রাম্য মেলা বসে। মেলায় দোকানিরা খাবারের রকমারি পসরা সাজিয়ে বসেন। সেখানেও উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
ক্লাবের সভাপতি মো. নূর আলম বলেন, মেলা উপলক্ষে কয়েকদিন আগে থেকে আশপাশের বাড়িগুলোতে বাড়তে থাকে অতিথির সংখ্যা। তাদের আপ্যায়নের জন্য রকমারি পিঠাপুলির আয়োজন করা হয়। গ্রাম-বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী গরু দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন জনম জনম ধরে অব্যাহত থাকুক- এমনটিই প্রত্যাশা। পরে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ সিকদারের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নয়নশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পলাশ চৌধুরী, নবাবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কসহ বিশেষ অতিথিবৃন্দ।
Leave a Reply