April 24, 2024, 4:37 pm

ফুলপরীকে নির্যাতন: পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী বেগমকে নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে তাদের কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, সাত দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ড. আমানুর আমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা (সেশন: ২০১৭-১৮), চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার উর্মি (সেশন ২০২০-২১), আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম (সেশন: ২০২০-২১), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম (সেশন: ২০২০-২১) ও একই বিভাগের একই সেশনের মুয়াবিয়া জাহান। তাদের মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী। শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায়, এর আগে পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় পাবনা ও কুষ্টিয়া পুলিশের নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে ফেরেন ভুক্তভোগী ফুলপরি ও তার বাবা আতাউর রহমান।

বুধবার (১ মার্চ) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্দেশ দেন ভুক্তভোগী ফুলপরি যে হলে থাকতে চায় সে হলের আবাসিকতা দেয়ার।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে ফুলপরি ক্যাম্পাসে ফেরেন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকতে ইচ্ছা পোষণ করেন। এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ক্যাম্পাসে এসে ফুলপরি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকতে ইচ্ছা পোষণ করেন। আমরা হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় নবীন ওই ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ও মোয়াবিয়া, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ এবং হাইকোর্টের নির্দেশে আলাদা তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।

এদিকে, এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট হয়। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। পরে এ ঘটনায় প্রতিটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ফুলপরির নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এরইমধ্যে অভিযুক্তদের হল এবং শাখা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :