April 20, 2024, 4:02 pm

বিদ্রোহ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আসামের মুখ্যমন্ত্রীর ধন্যবাদ

দৈনিক পদ্মা সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী ড.হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সন্ত্রাস ও বিদ্রোহ দমনে তাঁর সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’র জন্য আজ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা তার রাজ্যে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মুল কারণ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, গুয়াহাটির খানাপাড়ার কোনিয়াধারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে বৈঠককালে তিনি এ ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে মোমেন বলেন যে, বাংলাদেশ ও ভারতের উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে অনেক ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করছেন এবং বাংলাদেশ ভারতে চতুর্থ বৃহত্তম রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশ।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের সেরা সম্পর্ক উপভোগ করছে।
আসাম ও সিলেটের জনগণের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী সংযোগের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আসাম তাদের পণ্যের বাজার এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্যের উৎস হিসেবে বাংলাদেশের গতিশীল আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধির সুবিধা নিতে পারে।
তিনি দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি ও পর্যটন প্রসারের ওপর জোর দেন।
তিনি আরও পরামর্শ দেন যে, নদী পরিবহন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
এ সময় শর্মা বলেন, আসাম ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ ও সংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দু’দেশের জনগণের অভীন্ন স্বার্থে বাংলাদেশের সাথে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্প্রতিক গতিশীলতার ভূয়োসী প্রশংসা করেন।
মূখ্যমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারিকালে বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
শর্মা ব্রিটিশ আমলে চট্টগ্রাম বন্দর নগরীর সাথে রেলপথে বাণিজ্যের গুরত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, আসাম উন্নত চিকিৎসা ও শিক্ষা প্রতিষ্টান গড়ে তোলে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যটি বাংলাদেশী জনগণের চিকিৎসা ও শিক্ষার অন্যতম গন্তব্য হতে পারে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আশা করেন আগামী ৫০ বছরে এই সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
মোমেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামে আশ্রয় নেন উল্লেখ করে বলেন, আসাম ও ভারত তার হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয়দের পরিবারের সদস্যদের জন্য ২শ’ বৃত্তি প্রদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ড. মোমেন ২০২১ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগদান উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন।
তিনি আসামের মুখ্যমন্ত্রী আয়োজিত নৈশ্যভোজে অংশ নেন। সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ও আসিয়ান দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতসহ ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও অংশ গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের পররষ্ট্রমন্ত্রী ২৮ ও ২৯ মে আয়োজিত ন্যাচারাল অ্যালাইস ইন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্স (এনএডিআই) এর তৃতীয় সংস্করণে যোগ দিতে গতকাল গৌহাটি পৌঁছেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :