May 6, 2024, 8:14 pm

যুদ্ধ দীর্ঘ হওয়ায় বিশ্ব অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাপ্তির আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দীর্ঘায়িত যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা,পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।

স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্কটে স্বল্প সুদ ও সহজ শর্তে আর্থিক সহায়তায় একটি তহবিল গঠনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে পাঁচ দফা সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, খাদ্য সরবরাহ বন্ধ ও রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে অবিলম্বে কাযকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই জ্বালানি ও খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের (জিসিআরজি) সভায় ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনকভাবে আমরা আজকে যখন ক্রমবর্ধমান সংকট এবং মানবতার ওপর এর বিধ্বংসী প্রভাব নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি, তখন ইউক্রেনে সংঘাত চলছে। প্রকৃতপক্ষে প্রতিদিন যুদ্ধে নতুন নতুন অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আরও বেশি ধ্বংস ডেকে আনছে এবং সারাবিশ্বের মানুষের জীবনে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলছে। দারিদ্র্য ও বৈষম্য তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দরিদ্র দেশগুলোর ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এসব সমস্যা এবং অন্যান্য ধাক্কা বিশ্বজুড়ে খাদ্য, শক্তি ও অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতিতে বিলম্ব হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জ্বালানি ও খাদ্য আমদানিকারক দেশ হিসেবে ক্রমবর্ধমান আমদানি ব্যয়, মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চাপে ভুগছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতের ধকল মোকাবিলায় সহনশীলতা তৈরি করতে তার কয়েকটি নির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সংস্কারকৃত আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামো প্রয়োজন যা স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিনা শর্তে রেয়াতি, স্বল্প মূল্যের, স্বল্প সুদের তহবিলে প্রবেশাধিকারসহ আর্থিক সুবিধা দেবে।’

তিনি বলেন, যে কারণগুলো খাদ্যের মূল্যকে প্রভাবিত করে– যেমন রপ্তানি বিধিনিষেধ, মজুদ ও সরবরাহ চেইন বিকৃতি এসবের সুরাহা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ব্ল্যাক সী ইনিশিয়েটিভের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মানুষকে খাদ্য দিতে এবং জীবন বাঁচাতে এটি আরও সম্প্রসারণ করা দরকার।

তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ জ্বালানি সংমিশ্রণ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে জ্বালানি আমদানি হ্রাসের পাশাপাশি জ্বালানি শক্তিকে বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে।

খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন পরস্পর সম্পর্কিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পৌনঃপুনিকতা ও তীব্রতা বাড়ায়। তিনি বলেন, এটি আবার কৃষি, খাদ্য উৎপাদন এবং মানুষের বাস্তুচ্যুতিকে প্রভাবিত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :