রোকনুজ্জামান কুষ্টিয়া প্রতিনিধি॥
কুষ্টিয়া তথা সারাদেশের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে নবান্নের আনন্দে আমন ধান কাটার ধুম লেগেছে । জেলায় আগাম জাতের ধান কাটা মাড়াই চলছে পুরোদমে। মাঠের সোনালী ধান এখন ঘরে তুলতে ব্যস্ত এ অঞ্চলের কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, চলতি বছর আমন চাষে প্রতিকুল আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হয়েছে ছয় উপজেলার কৃষকদের।
কিন্ত বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কৃষান-কৃষানিরা। মাঠ জুড়ে সোনালী ধানের মৌ মৌ গন্ধে মনের আনন্দে কাজ করছেন কৃষকেরা।
কথা বলার মতো ফুরসত নেই তাদের। ধান কেটে অনেক কৃষকই আঁটি বেঁধে কাঁধে করে, আবার অনেকেই বিভিন্ন যানবহনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। বাসা-বাড়ির উঠানে চলছে আগাম জাতের ধান মাড়াইয়ের কাজ। এসব ধান নিয়ে কৃষকের যেমন ব্যস্ততা তেমনি আনন্দও প্রচুর। অনেকের বাড়িতে চলছে শীতের সকালে ভাঁপা পুলি, তেল পিঠা, নতুন চালের পায়েস ও নাড়ু মুড়ির মুখরোচক খাবার।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সুত্রে জানা যায়, জেলার ছয় উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই মৌসুমে জেলায় হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ করা হয়েছে। মোট আবাদের মধ্যে রয়েছে সুগন্ধি ব্রি-ধান। অপরদিকে, কয়েক দফার বন্যা এবং অতি বৃষ্টির কারণে নিম্মাঞ্চলের আনেক জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা ইবি থানা এলাকার কৃষকরা জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও ধানের বাম্পার ফলন করেছে কৃষকরা। অগ্রহায়ণ মাসে পুরো ধান কাটা শুরু হলেও আগাম জাতের বিভিন্ন ধান কার্তিকের মাঝামাঝি থেকে কাটা শুরু করেছে। সদর উপজেলার কবুরহাট কদমতলা এলাকার কৃষক কুদ্দুস জানান, কয়েক দফা বন্যা আর অতিবৃষ্টির কারণে আমন ধান চাষে ব্যাঘাত ঘটলেও এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
আগাম জাতের ধানের বাম্পার ফলনে কৃষক বেজায় খুশি। এছাড়াও ওই জমিতে সার ছাড়া শীতের সবজির প্রচুর আবাদ হয়। এতে দুই দিক থেকে লাভ হয় কৃষকের। ইতোমধ্যে কৃষকেরা ধান কাটতে শুরু করেছেন। বাজারে ভালো দাম পেলে কৃষকেরাএবার লাভবান হবেন। পাশাপাশি কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসব। এ যেন বাঙালি সংস্কৃতির চিত্র ফুটে উঠেছে গ্রাম-গঞ্জে । সকল বাঁধা পাড় করে কৃষি -কৃষক ,মাটি ও মানুষের হোক জয়।কুষ্টিয়া মত সারা রাংলায় কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হোক নবান্ন উৎসব।
Leave a Reply