ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক।
শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীকে সংগঠনের মূলমন্ত্রের আলোকে আদর্শবান নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিক্ষা ছাড়া একটা জাতি এগোতে পারে না, সেই কথাটা মাথায় রেখে ছাত্রলীগকে চলতে হবে।
ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র ‘শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি’ উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে শান্তির পথ ধরে প্রগতির পথে আমরা এগিয়ে চলবো। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আদর্শ নিয়ে না চললে কখনো বড় হতে পারবে না। দেশকে কিছু দিতে পারবে না। মানুষকে কিছু দিতে পারবে না।
সোমবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অধিকার আদায়ের জন্যে যে সংগঠন এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখে গেছে, যে সংগঠন এদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও এগিয়ে যাওয়ায় সংগ্রামী ভূমিকা নিচ্ছে- সে সংগঠনের নামই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই ছাত্রলীগ এগিয়ে যাবে সেটাই আমার কামনা।
শেখ হাসিনা বলেন, যে সংগঠন জাতির পিতা গড়ে তুলছিলেন মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের জন্যে। যে সংগঠন এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখে গেছে, যে সংগঠন এদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও এগিয়ে যাওয়ায় সংগ্রামী ভূমিকা নিচ্ছে- সে সংগঠনের নামই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই ছাত্রলীগ এগিয়ে যাবে সেটাই আমার কামনা।
তিনি বলেন, নিজের ঐতিহ্য মাথায় রেখে জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তোমরা নিজেদেরকে গড়ে তুলবে। যেকোনো রাজনীতিবিদের জন্য আদর্শ নিয়ে চলাটাই সব থেকে বড় কথা। সততা ও আদর্শের পাশাপাশি লক্ষ্য স্থির থাকলে যেকোনো অর্জনই সম্ভব। এটা জাতির পিতা দেখিয়ে গিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ব দরবারে বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে চলবে। সেটাই আমাদের আজকের দিনে প্রতিজ্ঞা।
ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে স্মৃতিচারণমূলক বক্তৃতা করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। এছাড়া ছাত্রীলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে ভিডিও ডকুমেন্টারি পরিবেশিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল ব্লাড ব্যাংক এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আলোচনা সভাটি সরাসরি সম্প্রচার করে। এছাড়া, দেশের সব জেলা, মহানগর ও উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে প্রজেক্টর এবং সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে জাতির পিতার লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী,’ ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়াচীন’ এবং ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অবদি নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’এর বিভিন্ন খণ্ডগুলো পড়ার আহ্বান জানান।
সূত্র: বাসস

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ০৯:৩৭:২০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি ২০২১

ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৯:৩৭:২০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি ২০২১

অনলাইন ডেস্ক।
শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীকে সংগঠনের মূলমন্ত্রের আলোকে আদর্শবান নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিক্ষা ছাড়া একটা জাতি এগোতে পারে না, সেই কথাটা মাথায় রেখে ছাত্রলীগকে চলতে হবে।
ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র ‘শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি’ উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে শান্তির পথ ধরে প্রগতির পথে আমরা এগিয়ে চলবো। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আদর্শ নিয়ে না চললে কখনো বড় হতে পারবে না। দেশকে কিছু দিতে পারবে না। মানুষকে কিছু দিতে পারবে না।
সোমবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অধিকার আদায়ের জন্যে যে সংগঠন এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখে গেছে, যে সংগঠন এদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও এগিয়ে যাওয়ায় সংগ্রামী ভূমিকা নিচ্ছে- সে সংগঠনের নামই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই ছাত্রলীগ এগিয়ে যাবে সেটাই আমার কামনা।
শেখ হাসিনা বলেন, যে সংগঠন জাতির পিতা গড়ে তুলছিলেন মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের জন্যে। যে সংগঠন এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখে গেছে, যে সংগঠন এদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও এগিয়ে যাওয়ায় সংগ্রামী ভূমিকা নিচ্ছে- সে সংগঠনের নামই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই ছাত্রলীগ এগিয়ে যাবে সেটাই আমার কামনা।
তিনি বলেন, নিজের ঐতিহ্য মাথায় রেখে জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তোমরা নিজেদেরকে গড়ে তুলবে। যেকোনো রাজনীতিবিদের জন্য আদর্শ নিয়ে চলাটাই সব থেকে বড় কথা। সততা ও আদর্শের পাশাপাশি লক্ষ্য স্থির থাকলে যেকোনো অর্জনই সম্ভব। এটা জাতির পিতা দেখিয়ে গিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ব দরবারে বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে চলবে। সেটাই আমাদের আজকের দিনে প্রতিজ্ঞা।
ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে স্মৃতিচারণমূলক বক্তৃতা করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। এছাড়া ছাত্রীলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে ভিডিও ডকুমেন্টারি পরিবেশিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল ব্লাড ব্যাংক এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আলোচনা সভাটি সরাসরি সম্প্রচার করে। এছাড়া, দেশের সব জেলা, মহানগর ও উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে প্রজেক্টর এবং সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে জাতির পিতার লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী,’ ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়াচীন’ এবং ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অবদি নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’এর বিভিন্ন খণ্ডগুলো পড়ার আহ্বান জানান।
সূত্র: বাসস