চুয়াডাঙ্গা ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে বাসের ফিটনেস চেক করা নিয়ে উত্তেজনা সড়ক অবরোধ

Padma Sangbad

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহে বাসের ফিটনেস চেক করা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে মালিক-শ্রমিকদের উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা ও আরাপপুর বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।এতে মালিক-শ্রমিকরা ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা এবং ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে ছুটে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তার সাথেও শ্রমিক ও মালিকদের বাগবিতণ্ডা হয়।জানা গেছে, সোমবার দুপরে ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাতুল ইসলাম ও আরাপপুর বাসস্ট্যান্ডে ম্যাজিস্ট্রেট ইরফানুল হক গাড়ির ফিটনেস চেক শুরু করে। এসময় কয়েকটি গাড়ির বিভিন্ন ক্রটি থাকায় ৬টি মামলা ও সাড়ে ৫ হাজারটাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু মালিক-শ্রমিকরা মামলা ও জরিমানা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে এসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাতুল ইসলামের সাথে যোগ দেন। তিনি এক চালকের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। এ সময় চালক গাড়ির কাগজপত্র মালিকের বাসায় আছে বলে জানান। ঘটনা নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে চালকের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের মাইক্রো বাসস্ট্যান্ড এক মিনিটের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দেন। এরপর মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।এ ব্যপারে ঝিনাইদহ বাস-মিনিবাস মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান খোকন অভিযোগ করে জানান, দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ প্রথমে চালকের কাছে গাড়ির কাগজপত্র চায়। ওই সময় চালক বলে কাগজপত্র মালিকের বাসায় আছে। এতে জেলা প্রশাসক উত্তেজিত হয়ে চালকের ঘাড় ধরে টায়ারের নিচে দিতে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সেইসাথে ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের মাইক্রো বাসস্ট্যান্ড এক মিনিটের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মালিক ও শ্রমিকরা জোট হয়ে আন্দোলন শুরু করলে জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেটরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, আমার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা গাড়ির ফিটনেস চেক শুরু করি। একপর্যায়ে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। তাদের দাবি তারা ফিটনেট চেক করতে দেবেন না। এরপর তারা আন্দোলন শুরু করেন।

আপডেট : ০৬:৫৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ঝিনাইদহে বাসের ফিটনেস চেক করা নিয়ে উত্তেজনা সড়ক অবরোধ

আপডেট : ০৬:৫৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহে বাসের ফিটনেস চেক করা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে মালিক-শ্রমিকদের উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা ও আরাপপুর বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।এতে মালিক-শ্রমিকরা ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা এবং ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে ছুটে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তার সাথেও শ্রমিক ও মালিকদের বাগবিতণ্ডা হয়।জানা গেছে, সোমবার দুপরে ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাতুল ইসলাম ও আরাপপুর বাসস্ট্যান্ডে ম্যাজিস্ট্রেট ইরফানুল হক গাড়ির ফিটনেস চেক শুরু করে। এসময় কয়েকটি গাড়ির বিভিন্ন ক্রটি থাকায় ৬টি মামলা ও সাড়ে ৫ হাজারটাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু মালিক-শ্রমিকরা মামলা ও জরিমানা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে এসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাতুল ইসলামের সাথে যোগ দেন। তিনি এক চালকের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। এ সময় চালক গাড়ির কাগজপত্র মালিকের বাসায় আছে বলে জানান। ঘটনা নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে চালকের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের মাইক্রো বাসস্ট্যান্ড এক মিনিটের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দেন। এরপর মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।এ ব্যপারে ঝিনাইদহ বাস-মিনিবাস মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান খোকন অভিযোগ করে জানান, দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ প্রথমে চালকের কাছে গাড়ির কাগজপত্র চায়। ওই সময় চালক বলে কাগজপত্র মালিকের বাসায় আছে। এতে জেলা প্রশাসক উত্তেজিত হয়ে চালকের ঘাড় ধরে টায়ারের নিচে দিতে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সেইসাথে ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের মাইক্রো বাসস্ট্যান্ড এক মিনিটের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মালিক ও শ্রমিকরা জোট হয়ে আন্দোলন শুরু করলে জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেটরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, আমার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা গাড়ির ফিটনেস চেক শুরু করি। একপর্যায়ে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। তাদের দাবি তারা ফিটনেট চেক করতে দেবেন না। এরপর তারা আন্দোলন শুরু করেন।