ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহঃঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুঞ্জুরুল আলম মনজেরের বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া টিআর, কাবিখা ও এলজিএসপি প্রকল্পের টাকা ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে ইচ্ছামতো ব্যায় করছেন বলে কয়েকজন ইউপি সদস্য অভিযোগ করেন। এ ক্ষেত্রে কোন মাসিক মিটিং করা হয় না বলে ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বর আনিছুর রহমান ও ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর সাব্বির হোসেন গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন। এদিকে অফিস না করার কারণে নাগরিক সনদ, ট্যাক্স প্রদান, জন্ম ও মৃত্যু সনদ না পেয়ে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নারায়নকান্দি ও ভবানীপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা কাজি মিজানুর রহমান, আতিয়ার রহমান মুন্সি, বাচ্চু মোল্লা, আহম্মদ আলী, খোকন ও উজির আলিসহ অনেকে প্রয়োজনীয় কাজ না করেই ফিরে গেছেন। চেয়ারম্যান মুঞ্জুরুল আলম মনজের ও সচিব আসাদুজ্জামান লিটন বৃহস্পতিবার অফিস করেন নি। তবে তারা অভিযোগ খন্ডন করে জানিেেছন সরকারী কাজে ব্যাস্ত থাকায় বৃহস্পতিবার পরিষদের যান নি। ইউপি সদস্য ওহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদে মাসিক কোন মিটিং করা হয় না। টিআর, কাবিখা ও এলজিএসপির কাজ নিজের খেয়াল খুশি মতো করে টাকা আত্মসাৎ করেন। ২২ লাখ টাকার এলজিএসপি কাজে কোন গ্রাম কমিটি গঠন করা হয়নি। জাল কাগজপত্র তৈরী করে চেয়ারম্যান টাকা তুলে নিচ্ছেন। ইউপি সদস্য সাব্বির হোসেন অভিযোগ করেন, গত ৫ বছর ধরে ট্যাক্স তুলে চেয়ারম্যান পকেটস্থ করছেন। আমরা হিসাব চাওয়ায় বৃহস্পতিবার তিনি অফিসে আসেন নি। কোন খাতে এই টাকা ব্যায় হয়েছে তাও তিনি বলেন না। গায়ের জোরে পরিষদ চালাচ্ছেন। ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান অভিযোগ করেন, তাদের প্রতিমাসের বেতন ট্যাক্সের টাকা তুলে দেওয়ার কথা কিন্তু চেয়ারম্যান তা দেন না। ২০২০ সালে ১১ মাসের বেতন বাকী রয়েছে। ট্যাক্সের টাকা তুলে খেয়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সচিব আসাদুজ্জামান লিটন বলেন, এলজিএসপির টাকা তুলে কাজ না করেই ভাগ করে দিতে চান মেম্বররা। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন অপবাদ দিচ্ছে। মেম্বররা হরিণাকুন্ডু ইউএনও ম্যাডামের কাছেও মৌখিত অভিযোগ করেছেন বলে সচিব স্বীকার করেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মুঞ্জুরুল আলম মনজের বলেন, মেম্বরদের অভিযোগ সব ফালতু। আমি সব সময় অফিস করি। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু ম্যারাথনে অংশ গ্রহন করায় পরিষদে যেতে পারিনি। তিনি বলেন, এলজিএসপি, টিআর ও কাবিখার প্রকল্প সঠিক ভাবে করা হচ্ছে। মেম্বর সাব্বির ও আনিছুর কাজ না করেই টাকার ভাগ চাচ্ছে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় কতিপয় মেম্বর আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ করছে। ইতিপুর্বে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষন মামলা করেও যখন তারা বিপদে ফেলতে পারেনি, এখক নতুন করে ষড়যন্ত্রের ছক কষছে, বলেন চেয়ারম্যান মনজের। চেয়ারম্যান পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ওহিদুল নামে ২ নং ওয়ার্ডের এক মেম্বর আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করবেন। তার ইন্ধনে এ সব করা হচ্ছে।
Leave a Reply