মিজানুর রহমান মিনু কাজিপুর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।। সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বিএডিসি’র সেচ সংযোগ চালুর দাবীতে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকগণ গণস্বাক্ষর দিয়েছেন। রবিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন জমা দিয়েছেন সোনামুখী ইউনিয়নের পারুলকান্দী গ্রামের নূর আলম ও ইকবাল হোসেন।
আবেদন ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, খাল, জলাশয় থেকে সেচ দেবার লক্ষ্যে কাজিপুর বিএডিসি অফিসের পানাসি প্রকল্পের আওতায় সেচ সুবিধা নিতে নুর আলমসহ পাঁচ সদস্যের কৃষকদল আবেদন করেন। কাজিপুর বিএডিসি অফিস আবেদনের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করে সম্মতি জানান। পরে নির্ধারিত টাকা জমা করার পরে প্রকল্প এলাকায় সাড়ে তিন হাজার ফুট ভূগর্ভস্থ পানি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করেন। এদিকে প্রকল্প এলাকার জলাধার শুকিয়ে গেলে তারা আপদকালিন সময়ের জন্যে বিধি মোতাবেক নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু ্ওই গ্রামের অগভীর নলকূপের সংযোগধারী রেজাউল কমির ও আবু তাহের তাতে বাধা দেন।
গত ৭ মার্চ বিএডিসির গৃহিত এই প্রকল্প বন্ধ করার জন্যে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তারা দরখাস্ত করে। তারা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন নুর আলম অবৈধভাবে তাদের প্রকল্প এলাকায় সেচ দিতে এই লাইন তৈরি করছেন। এছাড়া সেচ বিধির লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে ওই সেচ প্রকল্প এলাকার ৬৫ জন কৃষক কম খরচে সেচ সুবিধা পাবার জন্যে বিএডিসি’র সংযোগটি দ্রুত চালু করতে ইউএন’ওর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ লক্ষে তারা তাদের জমির বর্ণনা দিয়ে বিএডিসি’র সেচ নেবার জন্যে গণস্বাক্ষর দিয়েছেন।
নূর আলম জানান, বাধাদানকারী তাহেরের প্রকল্প এলাকায় লাইন নির্মাণ হয়নি। আর রেজাউল যে জমি চাষ করছে সে জমিতেও এই সেচের পানি ঢুকবে না। তাছাড়া উুঁচ জমিতে তারা কেউই সেচ দিতে পারেন না। একারণে রেজাউলের দুই ভাই ও দুই ভাতিজা বিএডিসি’র সংযোগ থেকে সেচ সুবিধা নিতে গণস্বাক্ষর দিয়েছেন।’
এদিকে গণস্বাক্ষর দেয়া কৃষক সাইদুল, লাল মিয়া, শফিকুল, ইকবালসহ আরও অনেকে জানান, আমরা অনেক কম দামে সেচ পাবো বলে বিএডিসি’র লাইনের সেচ নেবো।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ‘ কৃষকের স্বার্থ যেখানে সেই কাজ আমরা করবো। বিএডিসি’র সেচ থেকে কৃষক লাভবান হলে সেটা চালু করা হবে।
এখানে ব্যক্তি স্বার্থ দেখার সুযোগ নেই।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply