প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ৬১ টি পরিবার

Padma Sangbad

মেঃ আব্দুর রহমান অনিক।।

আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার ঈদ উপহার “অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের শেখ হাসিনা মডেল”এই পতিবাদ্যকে সামনে রেখে চাল, ডাল সেমাই, চিনি কিংবা শাড়ি লুঙ্গি নয়; ঈদের উপহার হিসেবে দেয়া হচ্ছে জমিসহ ঘর। এর মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। এবারের ঈদুল ফিতরে একেবারে নিঃস্ব ও ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দেয়া হবে এসব ঘর। সারা দেশে আগামী ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘর উপহার হিসাবে তুলে দেয়া হবে নিঃস্ব ও ভূমিহীনদের।তার ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ৬১ জন সৌভাগ্যবান পাবেন এই ঘর। ওইদিন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী তাদের মাঝে এই উপহার তুলে দিবেন।

২০২০ সালে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশে ভূমিহীনদের নিজস্ব ঠিকানা করে দেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নতুন করে আশ্রয়ন প্রকল্প। বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। গত বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে এখন চলছে এ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের কাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারে ৩য় পর্যায়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে। যাতে ছিন্নমূলদের মুখে হাসি ফুটে।

এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে সরেজমিনে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউপির দুধপাতিলা রেলগেট সংলগ্ন স্থানে যেয়ে দেখা গেছে, প্রকল্পের স্থান জুড়ে এখন ঘর নির্মাণ কাজের শেষ মুহূর্তের তোড়জোড় চলছে। ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানস্থল গোছগাছের তৎপরতা চলছে। প্রকল্পস্থানের ঘরগুলোকে উপকারভোগীদের বসবাসের উপযোগী করে তুলতে অবশিষ্ট কাজগুলো শেষ করে ফেলা হচ্ছে। এতে সেখানকার বাসিন্দাদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই জমিসহ ঘর পেতে যাচ্ছেন জেনে তারা ভীষণ আনন্দিত।

মোছাঃ জরিনা খাতুন নামে একজন উপকারভোগী বলেন, আগে স্বামী মোঃ নুর ইসলাম কে নিয়ে সরকারি খাস জমিতে একটা ছোট খুপরিতে বসবাস করতাম।স্বামীর পেশা দিনমজুর হওয়ায় কোনরকমে বেঁচে ছিলেন হতদরিদ্র পরিবারটি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের ১ম পর্যায়ের নির্মিত ঘরে এখন তারা বসবাস করেন।

অন্যদিকে লোকনাথপুরের মোঃবাবুলখা,একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি লোকনাথপুর গ্রামে পরের জমিতে বসবাস করতেন।তাঁর স্ত্রী কৃষি কাজ ও অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে তার ঠিকানা এখন হাউলি ইউপির দুধপাতিলা রেলগেট।সেখানে ১ম পর্যায়ে মুজিববর্ষের নির্মিত ঘরে বসবাস করেন।

এছাড়া মোছাঃ আনোয়ারা ও জসিমউদদীন নামের উপকারভোগী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে আমরা সকলে খুবই খুশি।

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), সুদীপ্ত কুমার সিংহ দৈনিক পদ্মা সংবাদ কে জানান , তৃতীয় পর্যায়ে এ উপজেলার একষট্রি পরিবারকে জমিসহ ঘর বরাদ্দ্ দেয়া হচ্ছে। আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঈদ উপহারের এই ঘর তুলে দিবেন। এর মাধ্যমে দামুড়হুদা উপজেলা ভূমিহীনমুক্ত উপজেলা হতে যাচ্ছে।

আগামী ২৬ এপ্রিল সকলকে উপস্থিত হয়ে এ মহৎ কাজের অংশীদার হতে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ০২:২৬:২০ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ৬১ টি পরিবার

Update Time : ০২:২৬:২০ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

মেঃ আব্দুর রহমান অনিক।।

আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার ঈদ উপহার “অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের শেখ হাসিনা মডেল”এই পতিবাদ্যকে সামনে রেখে চাল, ডাল সেমাই, চিনি কিংবা শাড়ি লুঙ্গি নয়; ঈদের উপহার হিসেবে দেয়া হচ্ছে জমিসহ ঘর। এর মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। এবারের ঈদুল ফিতরে একেবারে নিঃস্ব ও ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দেয়া হবে এসব ঘর। সারা দেশে আগামী ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘর উপহার হিসাবে তুলে দেয়া হবে নিঃস্ব ও ভূমিহীনদের।তার ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ৬১ জন সৌভাগ্যবান পাবেন এই ঘর। ওইদিন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী তাদের মাঝে এই উপহার তুলে দিবেন।

২০২০ সালে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশে ভূমিহীনদের নিজস্ব ঠিকানা করে দেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নতুন করে আশ্রয়ন প্রকল্প। বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। গত বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে এখন চলছে এ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের কাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারে ৩য় পর্যায়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে। যাতে ছিন্নমূলদের মুখে হাসি ফুটে।

এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে সরেজমিনে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউপির দুধপাতিলা রেলগেট সংলগ্ন স্থানে যেয়ে দেখা গেছে, প্রকল্পের স্থান জুড়ে এখন ঘর নির্মাণ কাজের শেষ মুহূর্তের তোড়জোড় চলছে। ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানস্থল গোছগাছের তৎপরতা চলছে। প্রকল্পস্থানের ঘরগুলোকে উপকারভোগীদের বসবাসের উপযোগী করে তুলতে অবশিষ্ট কাজগুলো শেষ করে ফেলা হচ্ছে। এতে সেখানকার বাসিন্দাদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই জমিসহ ঘর পেতে যাচ্ছেন জেনে তারা ভীষণ আনন্দিত।

মোছাঃ জরিনা খাতুন নামে একজন উপকারভোগী বলেন, আগে স্বামী মোঃ নুর ইসলাম কে নিয়ে সরকারি খাস জমিতে একটা ছোট খুপরিতে বসবাস করতাম।স্বামীর পেশা দিনমজুর হওয়ায় কোনরকমে বেঁচে ছিলেন হতদরিদ্র পরিবারটি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের ১ম পর্যায়ের নির্মিত ঘরে এখন তারা বসবাস করেন।

অন্যদিকে লোকনাথপুরের মোঃবাবুলখা,একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি লোকনাথপুর গ্রামে পরের জমিতে বসবাস করতেন।তাঁর স্ত্রী কৃষি কাজ ও অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে তার ঠিকানা এখন হাউলি ইউপির দুধপাতিলা রেলগেট।সেখানে ১ম পর্যায়ে মুজিববর্ষের নির্মিত ঘরে বসবাস করেন।

এছাড়া মোছাঃ আনোয়ারা ও জসিমউদদীন নামের উপকারভোগী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে আমরা সকলে খুবই খুশি।

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), সুদীপ্ত কুমার সিংহ দৈনিক পদ্মা সংবাদ কে জানান , তৃতীয় পর্যায়ে এ উপজেলার একষট্রি পরিবারকে জমিসহ ঘর বরাদ্দ্ দেয়া হচ্ছে। আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঈদ উপহারের এই ঘর তুলে দিবেন। এর মাধ্যমে দামুড়হুদা উপজেলা ভূমিহীনমুক্ত উপজেলা হতে যাচ্ছে।

আগামী ২৬ এপ্রিল সকলকে উপস্থিত হয়ে এ মহৎ কাজের অংশীদার হতে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।।