দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক।।
রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে দোকান কর্মচারী মোরসালিন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে মোরসালিনের ভাই নূর মোহাম্মদ মামলাটি করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কাইয়ুম বলেন, ‘গতকাল রাতে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তে যাদের জড়িত পাওয়া যাবে তাদের নাম যুক্ত হবে।’
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের সময় মঙ্গলবার মোরসালিন ইটের আঘাতে আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ৩৬ মিনিটে তিনি মারা যান।
ময়নাতদন্ত শেষে জানা গেছে, মোরসালিনের মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাডাকান্দি গ্রামে। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর পশ্চিম রসুলপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।
সোমবার মধ্যরাতে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে মঙ্গলবার দিনভর ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
মোরসালিনের শ্যালক ফরহাদ হোসেন মুন্না তার সঙ্গে একই দোকানে কাজ করতেন। তিনি মঙ্গলবারের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানান, তারা দুইজন একসঙ্গে বাসা থেকে বের হয়ে মার্কেটে যান। তারা দোকান খোলেন। কিন্তু কাস্টমার না থাকায় তারা বেলা ১টার দিকে দোকান বন্ধ করে দেন। এরপর মোরসালিন নামাজ পড়তে যান। আর তিনি সংঘর্ষের সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পড়েন।
পরে ফরহাদ ফোনে জানতে পারেন, মোরসালিনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
মোরসালিনের মামাত ভাই জাহিদুল ইসলাম জানান, মোরসালিন নামাজ পড়তে গিয়েই ইটের আঘাতে আহত হন।
Leave a Reply