এদের আরও সময় দেওয়া হলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না: ফখরুল

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক।।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাকে ধুলিসাৎ করে আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এদের আরও সময় দেওয়া হলে এ দেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পরিকল্পিতভাবে মূল সংবিধান পাল্টে দিয়ে তারা স্বৈরতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার ঝাউচর মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, আমাদের নেত্রী মিথ্যা মামলায় গৃহবন্দি আছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় বিদেশে আছেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং জাতীয় ঐক্য করতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। দেশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রতি বছরই কয়েকবার করে গ্যাস, তেল, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। ৭২ সালেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল। আমরা দেখেছিলাম, ৭৪ সালে কী ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। এসব কাটাতে না পেরে ৭৫ সালে তারা বাকশাল করেছিল। তখন পত্র-পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। আজ আবার তারা গণতন্ত্রের লেবাস পরিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা তারা চালু করছে, বলেন তিনি।

ফখরুল আরও বলেন, এ দেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে যেটা সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে সেটা হলো তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে দিয়েছে। আপনারা জানেন, এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আওয়ামী লীগই নিয়ে এসেছিল। তারা এই দাবিতে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। ক্ষমতায় আসার পর তারা তা বাতিল করে। আজ মানুষ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ২০১৮ সালে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪ সালে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন করেছিল। প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ সব জায়গায় তারা নিজেদের লোক নিয়োগ দিয়েছে। স্থানীয় নির্বাচনও এখন তারা বাদ দেয় না, গায়ের জোরে নিয়ে যায়। আজ তারা দলীয় প্রশাসনকে নিযুক্ত করেছে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে গিয়ে। তারা নির্মমভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে হত্যা করেছে। ইলিয়াস আলীসহ প্রায় ৬০০ নেতা-কর্মীকে তারা গুম করেছে, তাদের হদিস খুঁজে পাইনি।

তিনি বলেন, র‌্যাব এত বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, অন্যায় করেছে যে আজ আমেরিকা র‌্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ৭ জন কর্মকর্তা যাদের মধ্যে আমাদের পুলিশ প্রধানও আছেন, তাদের আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এদের বরখাস্ত করা উচিত ছিল। তবে তা না করে এই কয়েক দিন আগে আবারও ২ জনকে ক্রসফায়ারে হত্য করা হয়েছে। এ সমস্যা যারা তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নিয়ে তারা ভারতের কাছে সাহায্য চাইছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ০৪:৩৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

এদের আরও সময় দেওয়া হলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না: ফখরুল

Update Time : ০৪:৩৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

অনলাইন ডেস্ক।।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাকে ধুলিসাৎ করে আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এদের আরও সময় দেওয়া হলে এ দেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পরিকল্পিতভাবে মূল সংবিধান পাল্টে দিয়ে তারা স্বৈরতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার ঝাউচর মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, আমাদের নেত্রী মিথ্যা মামলায় গৃহবন্দি আছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় বিদেশে আছেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং জাতীয় ঐক্য করতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। দেশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রতি বছরই কয়েকবার করে গ্যাস, তেল, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। ৭২ সালেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল। আমরা দেখেছিলাম, ৭৪ সালে কী ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। এসব কাটাতে না পেরে ৭৫ সালে তারা বাকশাল করেছিল। তখন পত্র-পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। আজ আবার তারা গণতন্ত্রের লেবাস পরিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা তারা চালু করছে, বলেন তিনি।

ফখরুল আরও বলেন, এ দেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে যেটা সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে সেটা হলো তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে দিয়েছে। আপনারা জানেন, এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আওয়ামী লীগই নিয়ে এসেছিল। তারা এই দাবিতে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। ক্ষমতায় আসার পর তারা তা বাতিল করে। আজ মানুষ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ২০১৮ সালে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪ সালে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন করেছিল। প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ সব জায়গায় তারা নিজেদের লোক নিয়োগ দিয়েছে। স্থানীয় নির্বাচনও এখন তারা বাদ দেয় না, গায়ের জোরে নিয়ে যায়। আজ তারা দলীয় প্রশাসনকে নিযুক্ত করেছে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে গিয়ে। তারা নির্মমভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে হত্যা করেছে। ইলিয়াস আলীসহ প্রায় ৬০০ নেতা-কর্মীকে তারা গুম করেছে, তাদের হদিস খুঁজে পাইনি।

তিনি বলেন, র‌্যাব এত বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, অন্যায় করেছে যে আজ আমেরিকা র‌্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ৭ জন কর্মকর্তা যাদের মধ্যে আমাদের পুলিশ প্রধানও আছেন, তাদের আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এদের বরখাস্ত করা উচিত ছিল। তবে তা না করে এই কয়েক দিন আগে আবারও ২ জনকে ক্রসফায়ারে হত্য করা হয়েছে। এ সমস্যা যারা তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নিয়ে তারা ভারতের কাছে সাহায্য চাইছে।