দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক।।
আজ রোববার (১ মে) মহান মে দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য—শ্রমিক-মালিক একতা, উন্নয়নের নিশ্চয়তা। মে দিবস পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দেবেন। দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নেতৃত্বে শ্রম মন্ত্রণালয় ও এর অধীন অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন।
মে দিবস উপলক্ষে ৮ মে সকাল ১০টায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
দিবসটি উপলক্ষে স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, টিভি টকশো, টিভি স্ক্রল, টিভি ডকুমেন্টারি, সচেতনতামূলক ভিডিও প্রস্তুতকরণ, মোবাইলে খুদে বার্তা প্রেরণ, জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। এছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন ও হেলথ ক্যাম্প আয়োজনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মহান মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ইতিহাসে অনন্য দিন। সারা বিশ্বে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। বাংলাদেশে এই দিনে সরকারি ছুটি।
শ্রমের উপযুক্ত মূল্য ও দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে শ্রমিকরা আত্মাহুতি দিয়ে শ্রমিক অধিকার আদায়ে সংগ্রামের সূচনা করেছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে মহান মে দিবসকে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তিনি এই দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্বাধীনতা লাভের পরের বছরই জাতির পিতার ঐকান্তিক ইচ্ছায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্য পদ লাভ করে।
Leave a Reply