আজ ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ডিম ও মরিচের দাম বেড়েছে, চিনিতে অস্বস্তি কাটেনি

বাজারে নতুন করে ডিমের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিম এই সপ্তাহে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে এখন এক কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে। যা সপ্তাহখানেক আগে ৮০ টাকা ছিল। এদিকে এখনো কাটেনি চিনির সংকট। আগের বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। তবে শীতকালীন সবজির দামে কিছুটা স্বস্তির খবর রয়েছে। অধিকাংশ সবজির দামই কমেছে। শুক্রবার সকালে সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা চিনির কেজি ১০২ এবং মোড়কজাত চিনির কেজি ১০৭ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।

এরপরও বেশিরভাগ জায়গায় চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও পাওয়া গেলেও ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে। একই দরে বিক্রি হচ্ছে খোলা চিনিও। তবে এর চেয়ে অনেক বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে আখের লাল চিনি। মোড়কজাত এ ধরনের চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।

বিক্রেতারা বলছেন, প্রায় দুই মাস ধরে বাজারে চিনির সংকট। পাইকারি বাজারে পাওয়া গেলেও কিনতে হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে।

অন্যদিকে গত সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০-৪০ টাকা। বাজারে এখন এক কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে। যা সপ্তাহখানেক আগে ৮০ টাকা ছিল। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মরিচ বিক্রেতা বাছেদ মোল্লা বলেন, পাইকারিতে ১০ থেক ১৫ দিন ধরে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। সরবরাহ কম সেজন্য দাম উঠছে। এ কারণে খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়তি।

তবে আমন ধান উঠায় মোটা চালের দাম আরও কেজিতে দুই-তিন টাকা করে কমেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরেই চালের দাম নিম্নমুখী। এখন বাজারে গুটি স্বর্ণা জাতের চালের কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। মাঝারি আকারের চালের দামও কমেছে এক থেকে দুই টাকা করে। পায়জাম ও বিআর-২৮ জাতের চাল মাঝারি আকারের চালের কেজি কেনা যাবে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে। তবে চিকন বা মিনিকেট চালের দাম কমেনি। এ মানের চাল এখনও ৭২ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে শীত মৌসুমের বেশিরভাগ সবিজির দাম কমেছে। দু-তিনটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে সিম, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেপে, মুলা ও নতুন আলু কেনা যাচ্ছে এ দামে। অন্যদিকে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।

ওদিকে বাজারে ফার্মের মুরগি লাল ডিমের হালিতে ২ টাকা বেড়েছে। এখন হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। তিন দিন আগে হালি ছিল ৩৮ টাকা। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা। ডিম বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একটু বেড়েছে। হালিতে ২ টাকা বেড়েছে। অন্য ডিম আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আগে দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২৩০ টাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :