June 29, 2024, 4:16 pm

এবার সাকলায়েনের বিরুদ্ধে যে গুরুতর অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল

বিনোদন ডেস্ক : চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে সম্পর্কের জেরে চাকরি হারাচ্ছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনারের (এডিসি) দায়িত্বে থাকা গোলাম সাকলায়েন।

পরীকাণ্ডে আলোচনা শুরুর পর প্রথমে সাকলায়েনকে ডিবি থেকে সরিয়ে মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাকে ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়। এবার পরীকাণ্ডে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছে সেই সাকলায়েনকে।

এদিকে, চাকরি হারাতে বসতে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই এবার গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন আইনজীবী এবং মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে পিয়া জান্নাতুল লেখেন, ‘এই সেই ব্যক্তি (গোলাম সাকলায়েন), যিনি আব্বার এফআর টাওয়ার মামলায় ডিবি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। প্রায় ৬-৭ দিন আমি ও আম্মা আব্বাকে দেখতে ডিবি অফিসে যেতাম।’

এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এই সেই ব্যক্তি, যিনি প্রতারণামূলক এবং জোরপূর্বকভাবে সিআরপিসির ১৬৪ ধারার অধীনে জবানবন্দি নিতে আব্বার সম্মতি নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি সম্মতি না দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম আব্বাকে। কেননা, এ ঘটনায় মোটেও জড়িত ছিলেন না তিনি। কিন্তু আমি ডিবি অফিসে যাওয়ার আগেই তিনি (গোলাম সাকলায়েন) আব্বার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে আদালতে পরদিন জমা দিয়ে দেন। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার আমার ওপরও ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন এবং আব্বাকে ও আমাকে চুপ থাকতে বলেন।
অথচ তার জানা ছিল না যে, চুপ থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি আমি।’

এছাড়া ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘তিনি (গোলাম সাকলায়েন) যেদিন এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের জন্য জমির মালিক হিসেবে আব্বাকে গ্রেপ্তার করেছিলেন, তখন আব্বা এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। আব্বার বয়স তখন ৭৭ বছরের বেশি।’

আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল বলেন, ‘আমার দেখা মতে, এই জনাব গোলাম সাকলায়েন ব্যক্তিটি খুবই তীক্ষ্ম, প্রতিভাবান ও ধূর্ত। কিন্তু একটি ভুল তার সবকিছু শেষ করে দিলো। যদিও আমরা মানুষের অপকর্মের জন্য তাকে ক্ষমা করে দেই। কিন্তু প্রকৃতি ও সর্বশক্তিমান সবসময় সঠিক বিচার করার জন্য রয়েছেন।’

২০২১ সালের ১৩ জুন উত্তরা বোট ক্লাবে … অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমনি। পরদিন উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ওই মামলার তদন্তের তদারক কর্মকর্তা ছিলেন গোলাম সাকলায়েন।

এরপর পরীমনির সঙ্গে এডিসি গোলাম মোহাম্মদ সাকলায়েনের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। পরীমনি-সাকলায়েন কাণ্ডে বিভাগীয় তদন্তে বেরিয়ে আসে, এই নায়িকার সঙ্গে প্রায়ই রাতে বিভিন্ন স্থানে দেখা যেত এডিসি সাকলায়েনকে। রাত গভীর হলে গাড়ি নিয়ে বের হতেন তারা। মাঝেমধ্যে পরীমনির বাসায়ও যেতেন সাকলায়েন। সর্বশেষ পরীমনি সাকলায়েনের বাসায় তার স্ত্রী না থাকা অবস্থায় গিয়ে প্রায় ১৭ ঘণ্টা সময় কাটান। এরপর জনসমক্ষে আসে তাদের একান্ত ঘ’নি”ষ্ঠ দৃশ্য। এবার সেই ঘটনার তদন্তে চাকরি হারাতে বসেছেন গোলাম সাকলায়েন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :