চুয়াডাঙ্গা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউএনও'র উপর হামলার দায় স্বীকার করলো রবিউল

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার উপর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আসাদুল নয়, বাগানের মালি রবিউল। চুরি নয়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ইউএনও’র উপর হামলা করেছে। তিনি প্রাথমিকভাবে হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিনাজপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
এসময় দিনাজপুরে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শচীন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমাম জাফরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর রবিউলকে আটক করা হয়। তিনি বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের মালি পদে নিযুক্ত ছিলেন। ৫০ হাজার টাকা চুরি করার অপরাধে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিউল ইসলাম নামে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সরকারি কর্মচারীকে আমরা আটক করেছি। তার দেয়া তথ্যে মই ও হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আটক রবিউল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে হামলার ঘ্টনায় নিজের দায় স্বীকার করেছে। তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছি। এছাড়া তার বক্তব্য ও জব্দ করা সিসিটিভ ফুটেজের সাথে মিল পাওয়া গেছে। আমরা অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতে তার রিমান্ড আবেদন করব।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। ইউএনও ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন।
এই হামলার ঘটনায় ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে দিনাজপুর জেলা ডিবি তদন্ত করছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও র‌্যাব তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার দুদিনের মাথায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে গ্রেপ্তার হওয়া এক সন্দেহভাজনের বরাত দিয়ে ‘চুরির গল্প’ শুনিয়েছিল র‍্যাব। এক সপ্তাহের মাথায় পুলিশের তদন্তে ভিন্ন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

আপডেট : ০৯:২২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

ইউএনও'র উপর হামলার দায় স্বীকার করলো রবিউল

আপডেট : ০৯:২২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

অনলাইন ডেস্ক।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার উপর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আসাদুল নয়, বাগানের মালি রবিউল। চুরি নয়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ইউএনও’র উপর হামলা করেছে। তিনি প্রাথমিকভাবে হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিনাজপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
এসময় দিনাজপুরে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শচীন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমাম জাফরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর রবিউলকে আটক করা হয়। তিনি বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের মালি পদে নিযুক্ত ছিলেন। ৫০ হাজার টাকা চুরি করার অপরাধে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিউল ইসলাম নামে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সরকারি কর্মচারীকে আমরা আটক করেছি। তার দেয়া তথ্যে মই ও হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আটক রবিউল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে হামলার ঘ্টনায় নিজের দায় স্বীকার করেছে। তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছি। এছাড়া তার বক্তব্য ও জব্দ করা সিসিটিভ ফুটেজের সাথে মিল পাওয়া গেছে। আমরা অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতে তার রিমান্ড আবেদন করব।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। ইউএনও ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন।
এই হামলার ঘটনায় ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে দিনাজপুর জেলা ডিবি তদন্ত করছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও র‌্যাব তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার দুদিনের মাথায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে গ্রেপ্তার হওয়া এক সন্দেহভাজনের বরাত দিয়ে ‘চুরির গল্প’ শুনিয়েছিল র‍্যাব। এক সপ্তাহের মাথায় পুলিশের তদন্তে ভিন্ন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।