ভাগ্য সঙ্গ দিল না পঞ্জাবের, ২ রানে জিতল KKR

Padma Sangbad

দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক : শেষ মুহূর্তে টানটান নাটক। শেষপর্যন্ত কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২ রানে জিতলেন দীনেশ কার্তিকরা।নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৪-তে থামে কেকেআর। সেই রান তাড়া করতে নেমে ১৬২-তে দম ফুরোয় পঞ্জাবের। শেষ বলে দরকার ছিল ৭ রান। ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বল হাতে সুনীল নারিন। এমন পরিস্থিতিতে একটা ছক্কাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারত। সুপারওভারে চলে যেত খেলা। কিন্তু হল না! চেষ্টায় খামতি রাখলেন না ম্যাক্সওয়েল। নারিনের অনেকটা বাইরের বল টেনে মারলেন। তবে কপাল সঙ্গ দিল না। বাউন্ডারি লাইনের কিছুটা আগে গিয়ে পড়ল বল। বারবার দেখার পর থার্ড আম্পায়ার নিশ্চিত করলেন, বাউন্ডারি। আশাভঙ্গ হল কেএল রাহুলদের। কলকাতা জিতল ২ রানে।
শুরুটা মন্দ করেনি পঞ্জাব। কলকাতার ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই তুলে ফেলেছিল ১১৫। চলতি আইপিএলে দারুণ ফর্মে আছেন কেএল রাহুল। এ দিন করলেন চতুর্থ অর্ধ শতরান। ৫৮ বলে ৭৪ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেন রাহুল। আর এক ওপেনার ময়ঙ্ক আগরবাল করলেন ৩৯ বলে ৫৬ রান। ১৭ থেকে ১৯ ওভারই হয়ে উঠল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। পুরান, রাহুল আউট হতেই মাজা ভেঙে গেল পঞ্জাবের ব্যাটিংয়ের। টিকে থেকে ভরসা দিতে পারলেন না কেউই। শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় রান গিয়ে দাঁড়াল ১৪। এই রানটা উঠে যায়। পঞ্চম বলে আউট হলেন মনদীপ সিং। দরকার ৭। শেষ বলে ম্যাক্সওয়েলকে ৬ মারতেই হতো। ম্যাচ যেত সুপারওভারে। মেরেওছিলেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু বল বাউন্ডারি পার করতে পারল না। এ দিন কেকেআরকে টেনেছেন শুভমন গিল। ৪৭ বলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫৭ রান। ২৯ বলে ৫৮ করেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। কার্তিকের ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই স্কোর গেল ১৬৪-তে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ১২:৫১:২৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

ভাগ্য সঙ্গ দিল না পঞ্জাবের, ২ রানে জিতল KKR

Update Time : ১২:৫১:২৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক : শেষ মুহূর্তে টানটান নাটক। শেষপর্যন্ত কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২ রানে জিতলেন দীনেশ কার্তিকরা।নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৪-তে থামে কেকেআর। সেই রান তাড়া করতে নেমে ১৬২-তে দম ফুরোয় পঞ্জাবের। শেষ বলে দরকার ছিল ৭ রান। ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বল হাতে সুনীল নারিন। এমন পরিস্থিতিতে একটা ছক্কাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারত। সুপারওভারে চলে যেত খেলা। কিন্তু হল না! চেষ্টায় খামতি রাখলেন না ম্যাক্সওয়েল। নারিনের অনেকটা বাইরের বল টেনে মারলেন। তবে কপাল সঙ্গ দিল না। বাউন্ডারি লাইনের কিছুটা আগে গিয়ে পড়ল বল। বারবার দেখার পর থার্ড আম্পায়ার নিশ্চিত করলেন, বাউন্ডারি। আশাভঙ্গ হল কেএল রাহুলদের। কলকাতা জিতল ২ রানে।
শুরুটা মন্দ করেনি পঞ্জাব। কলকাতার ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই তুলে ফেলেছিল ১১৫। চলতি আইপিএলে দারুণ ফর্মে আছেন কেএল রাহুল। এ দিন করলেন চতুর্থ অর্ধ শতরান। ৫৮ বলে ৭৪ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেন রাহুল। আর এক ওপেনার ময়ঙ্ক আগরবাল করলেন ৩৯ বলে ৫৬ রান। ১৭ থেকে ১৯ ওভারই হয়ে উঠল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। পুরান, রাহুল আউট হতেই মাজা ভেঙে গেল পঞ্জাবের ব্যাটিংয়ের। টিকে থেকে ভরসা দিতে পারলেন না কেউই। শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় রান গিয়ে দাঁড়াল ১৪। এই রানটা উঠে যায়। পঞ্চম বলে আউট হলেন মনদীপ সিং। দরকার ৭। শেষ বলে ম্যাক্সওয়েলকে ৬ মারতেই হতো। ম্যাচ যেত সুপারওভারে। মেরেওছিলেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু বল বাউন্ডারি পার করতে পারল না। এ দিন কেকেআরকে টেনেছেন শুভমন গিল। ৪৭ বলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫৭ রান। ২৯ বলে ৫৮ করেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। কার্তিকের ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই স্কোর গেল ১৬৪-তে।