অনলাইন ডেস্ক ।।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় সুলেমা আক্তার (২৩) নামে এক নববধূর রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- স্বামী হৃদয় (২৮) ও শাশুড়ি ফরিদা বেগম (৪৮)। হৃদয় পৌরশহরের গরুহাট্টা এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে। নিহত সুলেমা মোহনগঞ্জ উপজেলার কলেজ রোড এলাকার আবদুস ছাত্তারের মেয়ে। তিনি মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী।জানা যায়, পারিবারিকভাবে দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হলেও গত ১১ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে স্ত্রী সুলেমা আক্তারকে ঘরে তুলে নেন হৃদয়। সুলেমা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুলেমাকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বামী হৃদয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্জিব দত্ত।এ ঘটনায় রাতেই মেয়ের বাবা আবদুস ছাত্তার বাদী হয়ে যৌতুকের কারণে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ এনে স্বামী হৃদয়, শাশুড়ি ফরিদা বেগম, দেবর জয় ও তার ভগ্নিপতি জামালকে আসামি করে এবং আরও কয়েকজন অজ্ঞাতকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন।মামলার পরই নিহতের স্বামী হৃদয় ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।নিহতের বাবা আবদুস ছাত্তার বলেন, মেয়েকে ঘরে তুলে নেয়ার পরই যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিল হৃদয় ও তার পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করার পর সেটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।মোহনগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আহাদ খান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হৃদয় ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুলেমা আক্তারের মৃত্যুর পেছনে রহস্য থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply