আজ ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পহেলা ডিসেম্বর সরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালনের প্রস্তাব

অনলাইন ডেস্ক।।
পহেলা ডিসেম্বর সরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করার প্রস্তাব দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের বৃটিশরা যেভাবে আজও স্মরণ করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেভাবে চিরস্মরণীয় করে রাখতে পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।আজ রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও কাজী ফিরোজ রশীদ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন ঘোষসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি ঘোষণা না থাকলেও পহেলা ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করা হয়। এক সময় যখন মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না তখনও যাতে তাদের স্মরণ করা হয় সেজন্য মুক্তিযোদ্ধা দিবসটি সরকারিভাবে পালনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকার যদি গেজেট করে একটা দিবস ঘোষণা করে তখন সেটা পালন করার বাধ্যবাধকতা থাকে। তাই আমাদের প্রস্তাব মন্ত্রণালয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে তুলবে। মন্ত্রীসভা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি করা হয়। ২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারি পল্টনে এক মহাসমাবেশ থেকে এই দাবি জানানোর পর থেকে পহেলা ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালন শুরু হয়।বৈঠকে জানানো হয়, মুক্তিযোদ্ধারা যেন স্বচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারেন সেজন্য ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে তাদের মাসিক সম্মানী আট হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট সাধারণ শিক্ষায় অধ্যয়নরত প্রত্যেককে এক হাজার টাকা এবং মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নরত প্রত্যেককে এক হাজার ৫০০ হারে ২০১২-১৩ অর্থ-বছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ-বছর পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৪৬০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে, তা যাচাই বাছাইয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে বৃত্তিপ্রাপ্তদের বিস্তারিত তথ্য আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
কমিটি সূত্র জানায়, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের যে চিকিৎসা খরচ দেওয়া হয় প্রয়োজন অনুযায়ী তা মাসিক হারে প্রদানের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আয় ও ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব বিবরণী এবং আয়-ব্যয়ের অডিট প্রতিবেদন আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :