চুয়াডাঙ্গা ০১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বলাৎকার কে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগ করার আইনি নোটিশ

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক।।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষক কর্তৃক ক্রমবর্ধমান ছাত্র ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক সচিব, শিক্ষা সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিব, আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ল এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার। লিগ্যাল নোটিসে উল্লেখ করা হয় যে, দেশে দুই ধরনের মাদ্রাসা শিক্ষা পদ্ধতি যেমন আলিয়া মাদ্রাসা এবং কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক, এবং এইসব মাদ্রাসাগুলোতে প্রায় কোটির কাছাকাছি ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে। এই মাদ্রাসাগুলোতে লক্ষ লক্ষ কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে পুরুষ শিক্ষকদের অধিনে। এই মাদ্রাসাগুলোতে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের কারণে এসব কোমলমতি ছাত্ররা। ধর্ষণসহ বিভিন্ন যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তাদের শিক্ষক দ্বারা। এসব যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের ফলে অনেক ছাত্ররা মৃত্যুর মুখেও ঢলে পড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসব ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে পুরুষের সাথে পুরুষের জোরপূর্বক যৌনসঙ্গমকে ধর্ষণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। ফলে এ ধরনের যৌনসঙ্গমের শাস্তি অনেক কম থাকায় মাদ্রাসার শিক্ষকরা এ সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে। লিগ্যাল নোটিশে দন্ড বিধির ৩৭৫ ধারায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ ধারায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনয়ন করে পুরুষ কর্তৃক ছাত্রদের বলাৎকারকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করে এ ধরনের অপরাধে ধর্ষনের মতোই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয় । একই সাথে আলিয়া মাদ্রাসা এবং কওমি মাদ্রাসাগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মহিলা শিক্ষক নিয়োগ করে বিশেষত শিশুদেরকে মহিলা শিক্ষক দ্বারা পাঠদানের ব্যবস্থা গ্রহন করতে নোটিশে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মাদ্রাসা প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে লিগ্যাল নোটিশে। এছাড়াও কওমি মাদ্রাসা গুলিকে নিয়ন্ত্রণ এর জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধান প্রণয়ন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নোটিশ গ্রহীতাদের আগামী ৫ দিনের মধ্যে নোটিশে বর্ণিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে ল’ এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশনকে প্রতিবেদন আকারে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ ইমেইল ও ডাকযোগে উক্ত নোটিশটি প্রেরণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নোটিশ প্রদান কারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, মাদ্রাসাগুলিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী এতিম এবং সমাজের বঞ্চিত শিশু-কিশোররা পড়াশোনা করে থাকে। এ কারণে তাদেরকে নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটলেও তাদের বিষয়ে আইনগত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ বা সামাজিকভাবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মত তেমন কাউকে দেখা যায় না। ফলে অপরাধীরা এ ধরনের জঘন্য এবং ঘৃণ্য অপরাধ করেও অতি সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি কোন সভ্য সমাজে কোনোভাবেই কাম্য নয়। কর্তৃপক্ষের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

আপডেট : ০৭:৩৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

বলাৎকার কে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগ করার আইনি নোটিশ

আপডেট : ০৭:৩৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

অনলাইন ডেস্ক।।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষক কর্তৃক ক্রমবর্ধমান ছাত্র ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক সচিব, শিক্ষা সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিব, আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ল এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার। লিগ্যাল নোটিসে উল্লেখ করা হয় যে, দেশে দুই ধরনের মাদ্রাসা শিক্ষা পদ্ধতি যেমন আলিয়া মাদ্রাসা এবং কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক, এবং এইসব মাদ্রাসাগুলোতে প্রায় কোটির কাছাকাছি ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে। এই মাদ্রাসাগুলোতে লক্ষ লক্ষ কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে পুরুষ শিক্ষকদের অধিনে। এই মাদ্রাসাগুলোতে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের কারণে এসব কোমলমতি ছাত্ররা। ধর্ষণসহ বিভিন্ন যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তাদের শিক্ষক দ্বারা। এসব যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের ফলে অনেক ছাত্ররা মৃত্যুর মুখেও ঢলে পড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসব ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে পুরুষের সাথে পুরুষের জোরপূর্বক যৌনসঙ্গমকে ধর্ষণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। ফলে এ ধরনের যৌনসঙ্গমের শাস্তি অনেক কম থাকায় মাদ্রাসার শিক্ষকরা এ সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে। লিগ্যাল নোটিশে দন্ড বিধির ৩৭৫ ধারায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ ধারায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনয়ন করে পুরুষ কর্তৃক ছাত্রদের বলাৎকারকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করে এ ধরনের অপরাধে ধর্ষনের মতোই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয় । একই সাথে আলিয়া মাদ্রাসা এবং কওমি মাদ্রাসাগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মহিলা শিক্ষক নিয়োগ করে বিশেষত শিশুদেরকে মহিলা শিক্ষক দ্বারা পাঠদানের ব্যবস্থা গ্রহন করতে নোটিশে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মাদ্রাসা প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে লিগ্যাল নোটিশে। এছাড়াও কওমি মাদ্রাসা গুলিকে নিয়ন্ত্রণ এর জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধান প্রণয়ন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নোটিশ গ্রহীতাদের আগামী ৫ দিনের মধ্যে নোটিশে বর্ণিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে ল’ এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশনকে প্রতিবেদন আকারে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ ইমেইল ও ডাকযোগে উক্ত নোটিশটি প্রেরণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নোটিশ প্রদান কারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, মাদ্রাসাগুলিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী এতিম এবং সমাজের বঞ্চিত শিশু-কিশোররা পড়াশোনা করে থাকে। এ কারণে তাদেরকে নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটলেও তাদের বিষয়ে আইনগত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ বা সামাজিকভাবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মত তেমন কাউকে দেখা যায় না। ফলে অপরাধীরা এ ধরনের জঘন্য এবং ঘৃণ্য অপরাধ করেও অতি সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি কোন সভ্য সমাজে কোনোভাবেই কাম্য নয়। কর্তৃপক্ষের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।