অনলাইন ডেস্ক।
স্বামীর পাশবিক প্রবৃত্তি। একটা হাত হারাতে হয়েছিল কেতুগ্রামের রেণু খাতুনকে। সরকারি চাকরি যাতে তিনি করতে না পারেন সেই জন্যই স্বামী হাত কেটে নেওয়ার মতো কাণ্ড করেছিলেন বলে তাঁর অভিযোগ। এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠছিল রেণু কি আবারও সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন? সেই সময়ই পাশে দাঁড়িয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ‘মমতার’ সহানুভূতির ছোঁয়া পেয়েই শেষমেশ কাজে যোগ কেতুগ্রামের রেণুর । ঘটনার পরে খোদ মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেইমতো মঙ্গলবার নার্সিং স্টাফ গ্রেড ২ পদে যোগ দিয়েছেন কেতুগ্রামের নার্সিং ছাত্রী রেণু খাতুন
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো এক সপ্তাহ আগেই দুর্গাপুরে রেণুর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। আজ পূর্ব বর্ধমান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে রেণু কাজে যোগ দিলেন। নতুন করে স্বাস্থ্য দফতর থেকে কোনও নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রেণু এই অফিসেই কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায়।
ডান হাত খুইয়েছেন। হাসপাতালে বসেই বাঁ হাতে লেখা শিখছিলেন তিনি। চাকরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে কাজে এল সেই অভ্যাস। কাজে যোগদান করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন রেণু খাতুন। আগামী ২৭ শে জুন মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব বর্ধমানে আসছেন। ওই দিনই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান রেণু । নার্সিং ছাত্রী রেণু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসহায়দের পাশে বরাবর দাঁড়িয়েছেন। তিনি অসহায়দের পাশে মায়ের মতো দাঁড়ান। তাঁকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই। আমি কৃতজ্ঞ। তিনি এলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাই। যাঁরা আমার মতো নিগ্রহের শিকার তাঁদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে চাই।
কাজে যোগ দিয়ে রেণু জানান, তাঁর যে ডানহাত নেই এই প্রতিবন্ধকতা তাঁর কর্মজীবনে কোনও প্রভাব ফেলবে না। এটাই তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জের। পাশাপাশি আগামী দিনে যদি কারও সঙ্গে এই ধরণের ঘটনা ঘটে তাঁর পাশে তিনি দাঁড়াবেন প্রতিবাদী হয়ে এই প্রতিশ্রুতিও দেন রেণু।
সুত্রঃ আনন্দ বাজার পত্রিকা।
Leave a Reply