জানা গেছে, এর আগে রোববার (২৬ জুন) ওই শিক্ষার্থীকে ইংরেজি বিভাগে ডাকা হয়। সেখানে তার লিখিত বক্তব্য নিয়ে তা প্রক্টর দফতরে পাঠানো হয়।
সংবাদ মাধ্যমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল জানান, ওই শিক্ষার্থী যে অপরাধ করেছে তার কারণ দর্শাতে হবে। যথাযথ কারণ বলতে না পারলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি ‘স্যার আজকে আমার মন ভালো নেই’ লেখাসংবলিত একটি ‘অতিরিক্ত উত্তরপত্রের’ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। যেখানে লাল কালিতে লেখা রয়েছে ‘বাতিল’। এমনকি প্রাপ্ত নম্বর ০০ লেখা রয়েছে।
ফেসবুকে ছড়ানো ওই উত্তরপত্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, লোগো এমনকি বিভাগীয় সিলও রয়েছে। যার ক্রমিক নম্বর দেয়া রয়েছে ৮৫৭৪৩১।
উত্তরপত্রটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ বর্ষের ইংরেজি বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের এক শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে, যেখানে পরীক্ষার তারিখ ১২ জুন উল্লেখ করা হয়।
উত্তর লেখা শুরুর স্থানে ইংরেজিতে ‘১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর’ লিখেছেন তিনি। এরপর লিখেছেন, ‘স্যার আজকে আমার মন ভালো নেই।’ এই লেখার নিচে নিজের স্বাক্ষর ও তারিখও লিখেছেন ওই শিক্ষার্থী।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিটি মূলত কোনো পরীক্ষার্থীর নয়। এমনকি ১২ জুন তারিখে ওই বিভাগে কোনো পরীক্ষাও ছিল না। তাহলে কোথা থেকে এলো এই উত্তরপত্র?
সংবাদ মাধ্যমকে ওই শিক্ষার্থী জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মজার ছলে তিনি ওই ছবিটি ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন।
তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত ওই উত্তরপত্রটি কিছুদিন আগে ক্লাসরুমে পড়ে থাকতে দেখে বাসায় নিয়ে যান। এরপর ওই উত্তরপত্রে ‘স্যার আজকে আমার মন ভালো নেই’ লিখে পোস্ট করেন। অনেকে তাকে জানালে সঙ্গে সঙ্গে ওই পোস্ট সরিয়ে নেন। এরপরও অনেকে তা স্ক্রিনশট নিলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
আর এতেই ঘটে বিপত্তি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় ডাক পড়ে ওই শিক্ষার্থীর। ঘটনা তদন্তে রোববার (২৬ জুন) বিভাগীয় চেয়ারম্যানের দফতরে তাকে হাজির হতে বলা হয়। একই সঙ্গে উত্তরপত্রটি কোনো পরীক্ষার অংশ নয় বলেও সংবাদ মাধ্যমকে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমিন উদ্দীন সংবাদ মাধ্যমে জানান, ওই শিক্ষার্থী ভুল স্বীকার করেছেন। রোববার তাকে বিভাগে ডাকা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রোববার সংশ্লিষ্ট বিভাগে হাজির হওয়ার পর লিখিত বক্তব্য নিয়ে তা প্রক্টর দফতরে পাঠানো হলে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Leave a Reply