April 27, 2024, 4:31 am

১ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

মুক্তির নায়কদের সম্মান জানাতে ১ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করেছে, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একসাগরের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ও লাল-সবুজের পতাকা প্রতিষ্ঠিত করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বার্ধক্যের কারণে দিনে দিনে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কমছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণীয় করে রাখতে বিজয়ের মাসের প্রথম দিনটি মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবী যৌক্তিক।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান।

তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ আর কষ্টে জন্ম বাংলাদেশের। অথচ সেই মুক্তির নায়কদের সম্মান ও স্মরণ করার নির্দিষ্ট একটি দিন নেই বাংলাদেশে। ২০০৪ সাল থেকে ১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সরকারের সংশ্লিষ্টরা দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করলেও দেড় দশকেরও বেশী সময় ধরে উপেক্ষিত রয়েছে এই দাবি।

নেতৃদ্বয় বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই এই দাবির বাস্তবায়ন করা উচিত ছিল। কিন্তু, দু:খ জনক হলেও সত্য তা বাস্তবায়ন হয় না। বিজয়ের মাসের প্রথম দিন ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা সরকারের দায়িত্ব হলেও সরকার কেন তা করছে না দেশবাসীর কাছে তা বোধগম্য নয়। দেশমাতৃকার বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের এখনও যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে না। ১ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালনের যে দাবি উঠেছে এই দাবি অবিলম্বে মেনে নেয়া উচিত।

তারা আরো বলেন, আমরা প্রতিদিন কত দিবসই পালন করি। তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও একটি দিবস থাকলে তারা আরও বেশি সম্মানিত হবেন। ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ জাতীয়ভাবে পালন করতে পারলে নতুন প্রজন্ম অন্ত:ত এই দিনটিতে হলেও দেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বর্তমান সরকার দীর্ঘ সময়েও মুক্তিযোদ্ধাদের এই দাবি মেনে না নেয়া দু:খজনক ও হতাশা ব্যঞ্জক।

নেতৃদ্বয় বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘জাতীয় বীর উপাধি’ প্রদানের মাধ্যমে বিজয়ের মাসের প্রথম দিন ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা সরকারের উচিত। দেশমাতৃকার বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের এখনও যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে না। তাদের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে, কিছু আয়োজনে অতিথি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু এটা সম্মান জানানোর যথাযথ উপায় নয়।

তারা বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা, একটি স্বাধীন দেশের জন্য কতটা ত্যাগ-তিতিক্ষা-মূল্য দিতে হয়েছে সেই ইতিহাস তুলে ধরার জন্য মুক্তিযোদ্ধা দিবস প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :