April 20, 2024, 3:27 am

আটোয়ারী’র ফকিরগঞ্জ বাজারে বৃষ্টি হলেই হাটু পানি ! দুর্ভোগ চরমে !!

মোঃ ইউসুফ আলী, আটোয়ারী(পঞ্চগড়) প্রতিনিধি।। পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ফকিরগঞ্জ বাজার। এখানে প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার প্রায় ১০ হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু ব্যবসায়ী সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ফকিরগঞ্জ বাজারে বাণিজ্য করতে আসে। এছাড়া প্রতিদিন বাজারে কেনাকাটা করেন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ফকিরগঞ্জ বাজারের দীর্ঘদিনের সমস্যা আজো সমাধান হয়নি। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে থাকে হাঁটু পরিমান পানি। গত কয়েক দিনের বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার ফলে চরম দুর্ভোগ আর সংকটে দিন অতিবাহিত করছেন বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সাধারণ মানুষ। এছাড়া বাজারের চারপাশ জুড়ে রয়েছে আবাসিক এলাকা, ফকিরগঞ্জ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ (উপজেলা মডেল মসজিদ), আটোয়ারী সরকারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন, সোনালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক, আটোয়ারী আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজ, মির্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রী কলেজ, আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আটোয়ারী কিন্ডার গার্টেন, ফকিরগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এসব প্রতিষ্ঠানে অন্তত: গড়ে ৫/৬ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবি ও ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষের চলাচল। বর্ষা মৌসুম আসলেই এসব প্রতিষ্ঠানে আগত শিক্ষার্থী সহ চাকুরীজীবি ও ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে যাতায়াত করতে প্রতিনিয়ত অবর্ননীয় ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এছাড়া মসজিদের মুসল্লীদের নামাজে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। কয়েক বছর পূর্বে এ বাজারে নির্মিত ড্রেনটিতে অসচেতন ব্যবসায়ীরা ময়লা-আর্বজনা ফেলার কারণে সংকুচিতভাবে নির্মিত ড্রেনগুলো একেবারে বন্ধ হয়ে কাঁদা পানি ও বর্জ্যে একাকার হয়ে উঠেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই গোটা বাজারের অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ময়লা পানি বের হওয়ার সুয়োগ না থাকায় ড্রেনে মশা মাছির প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর এসব হতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা, পথচারী সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ী মহল অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এদিকে দীর্ঘদিনের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ অতি সম্প্রতি প্রায় ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রুহিয়া-পঞ্চগড় সড়কের পূর্ব পার্শ্বে প্রায় ৭শ মিটার দৈর্ঘ্য একটি ড্রেন নির্মাণের একটি প্রকল্প গ্রহন করে। যথারীতি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ড্রেন অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ব্যপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকিউল আলম জানান, ড্রেন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ড্রেন নির্মান কাজ শেষ হলে দীর্ঘ দিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে বলে আমার বিশ্বাস।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :