অনলাইন ডেস্ক।।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে আর্থিক সেবার আওতা আরও বাড়ানো হলো। এই দফায় ক্ষুদ্রঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে তারা নতুন ঋণ বিতরণ, রেমিট্যান্স ও সামাজিক উন্নয়ন সেবা দিতে পারবে। বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় সব ধরনের সেবাই সীমিত পরিসরে ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) থেকে আলাদা আলাদাভবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ আরোপের পর থেকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জরুরি সেবার আওতায় খুবই সীমিত আকারে চলছিল। এর মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম ও সরকার ঘোষিত প্রণোদনার অংশ বাস্তবায়নের কাজ করছিল। আজ থেকে তারা প্রায় সব ধরনের সেবাই সীমিত পরিসরে চালু করতে পারবে। একই সঙ্গে অফিসও সীমিত সময়ের জন্য খোলা রাখতে পারবে। তবে কত সময় ধরে অফিস খোলা রাখতে পারবে সে ব্যাপারে প্রজ্ঞাপনে কিছুই উল্লেখ নেই।
এ বিষয়ে গত ২ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি থেকে সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সীমিত আকারে কার্যক্রম চালাতে পারবে। এতে আরও বলা হয়, করোনার কারণে দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নতুন ঋণ বিতরণ, রেমিট্যান্স ও অন্যান্য সামাজিক উন্নয়ন সেবা সীমিত আকারে চালুর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করতে পারবে। এর আলোকে একইদিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে সোমবার সকালে এমআরএ থেকে এ ব্যাপারে সার্কুলার জারি করে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়। এটি সোমবার থেকেই কার্যকর করা হয়েছে। ফলে এদিন থেকেই অনেক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে।
সূত্র জানায়, গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও প্রান্তিক এলাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করে। এসব খাতে ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন ঋণ বিতরণ, রেমিট্যান্সের অর্থ প্রদান ও অন্যান্য সামাজিক সেবা প্রদানের বিষয়টি চালু করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জরুরি সেবার আওতায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সব বিভাগ, সব বিভাগীয় কার্যালয়, নিরীক্ষা কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয় ও সব শাখা সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। একইভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ সব শাখা খোলা থাকছে। বাংলাদেশ হাউস ব্লিডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়সহ সব শাখা অফিস খোলা রয়েছে।
গ্রামীণ ব্যাংকও জরুরি সেবার আওতায় সীমিত পরিসরে তাদের কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম সীমিত আকারে চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ ঢাকায় একটি শাখা ও প্রতি জেলায় একটি করে শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এবং এমআরএ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান ও এনজিওগুলোর কার্যক্রম ও জরুরি সেবার আওতায় সীমিত আকারে চালু রাখা হয়েছে।
Leave a Reply