কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিস- বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড প্রদানে অনিয়ম
#বিচারকের বাবা পেয়েছে বয়স্ক ভাতা #প্রতিবন্ধী না হয়েও পাচ্ছে ভাতা
শাহ আলম, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এ সকল ভাতা প্রদান করছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা উপজেলার ১নং সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড প্রদান করেন। যা নিয়ে ইউনিয়ন জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। ইউনিয়নের ডুমুরতলা গ্রামের মৃত মোজাম মন্ডলের ছেলে আনসার আলীকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দেওয়া হয় বয়স্ক ভাতা কার্ড। আনসার আলী ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত ঝিনাইদহ ডিসি অফিসের প্রসেস সার্ভেয়ার পদ থেকে অবসরে যান। বর্তমানে নিয়মিত তিনি পেনশন সুবিধা পাচ্ছেন। তার এক ছেলে একটি জেলার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে কর্মরত এবং আরেক ছেলে বেসরকারি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আনসার আলী প্রতিষ্ঠিত একজন স্বচ্ছল মানুষ হয়েও বয়স্ক ভাতার কার্ড পাওয়া নিয়ে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও সুন্দরপুর-দুর্গাপুর গ্রামের এলাহী বিশ্বাসের ছেলে মোঃ রফিউদ্দিন বিশ্বাস সচ্ছল ব্যক্তি হয়েও পেয়েছেন বয়স্ক ভাতার কার্ড। এদিকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের ক্ষেত্রেও অনিয়ম করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলার ইউপি সদস্য ওজুফা বেগমের ছেলে রানা হোসেন, নিয়ামত মন্ডলের ছেলে জাফর মন্ডল, খাদেম আলী মন্ডলের ছেলে সাজ্জাদ মন্ডলকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড প্রদান করেন। ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ইউনিয়ন সমাজকর্মী শাহজাহান আলী ও সুবর্ণা আক্তার উপকারভোগীদের নিকট থেকে সুবিধা নিয়ে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডগুলো করে দিয়েছেন।
বয়স্ক ভাতাভোগী আনসার আলী জানান, ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান তাকে আবেদন করতে বলেন অনলাইনে। আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি ভাতা ভোগীর আওতায় এসেছি এবং ঈদের আগে টাকাও পেয়েছেন।
প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী সাজ্জাদ মন্ডল জানান, তার পায়ে প্রায়ই ব্যথা অনুভব করে এবং মাঝে মাঝে ফুলে উঠছে। এই কারণে মহিলা ইউপি সদস্য ওজুফা আমার একটা প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, আমার গ্রামের দুইজনকে বয়স্ক ভাতা ও তিনজনকে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রতিবন্ধী না হয়েও তারা প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। সেই কার্ডগুলো করা হয়েছে সরকারি নিয়মের বাইরে। এই কার্ডগুলো প্রকৃত বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীরা পাইনি অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বর তাদেরকে সুপারিশ করে অনলাইনে আবেদন করায়। অনলাইনে তিনি আবার সেটা দেখে ঢাকা অফিসে পাঠিয়ে দেন। তবে পুনরায় আবার খতিয়ে দেখব। যদি অনিয়ম হয় তাহলে তাদের কার্ড বাতিল বলে গণ্য হবে।
- সাধারণ রোগী হিসেবে এনআইও-তে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- ১৮০ দেশের মধ্যে মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ ১৬৫তম
- গণমাধ্যমকে নানা কারনে আত্মসমর্পন করতে হয় : বাংলাদেশ ন্যাপ
- সিরাজদিখানে নতুন ভাষানচরে আলহাজ্ব আবুবক্কর সিদ্দিক’র উঠান বৈঠক
- উপজেলা নির্বাচনে জনগণই তাদের পছন্দ মতো জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুক : প্রধানমন্ত্রী
- শার্শার বাগআঁচড়া বেলতলা আম বাজারে প্রকাশ্যে চলছে অপরিপক্ক আম কেনাবেচা
- খাগড়াছড়িতে আগুনে পুড়ে গেছে ২৯টি দোকান
- শার্শার বাগআঁচড়ায় মহান মে দিবস পালিত
- আটোয়ারীতে মহান মে দিবস পালিত
- মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র্যালি ও সমাবেশ
Leave a Reply