April 19, 2024, 6:36 am

গরুর মাংস ৬৪০, ডিম ১০ টাকা : মিলবে ঢাকার যেসব স্থানে

মুরগির খামার পর্যায়ে দাম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছে চার কম্পানি। আগামীকাল শুক্রবার থেকে কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশের খামার পর্যায়ে এ দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হবে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে মুরগির দাম কত হবে সেটা নির্ধারণ হয়নি।

এ ক্ষেত্রে বাজারে ব্রয়লারের দাম কমে আসবে বলে আশা করছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, রোজায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামে ৩০-৪০ টাকার একটা প্রভাব পড়বে। আশা করছি ভোক্তা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম কমবে ৩০-৪০ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় চার কম্পানিকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দেন।

ভোক্তা মহাপরিচালক বলেন, কাজী ফার্ম, সিপি, প্যারাগন ও আফতাব ফার্মের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কম্পানিগুলো আজ পর্যন্ত প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা করে মিলগেটে বিক্রি করেছে। তারা আজ বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০-৪০ টাকা কমবে।

তিনি বলেন, ‘আমি তাদের আহ্বান করেছি, আপনারা এই রমজান মাসে একটু কম লাভ করেন। তারা একমত হয়েছেন। ফার্ম থেকে ব্রয়লার আসছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা রেটে। সে ক্ষেত্রে তো খোলাবাজারে ২৫০ টাকা হবেই।’

সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে। পবিত্র রমজান উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের অফিশিয়াল ম্যান্ডেড না। তার পরও একজন মানুষকে যদি উপকার করতে পারি, একজন মানুষ যদি সহজলভ্য বা সাধ্যের মধ্যে দুধ, ডিম, মাংস কিনতে পারেন, তাহলে তার রোজা রাখা স্বস্তিদায়ক হবে। সে লক্ষ্য মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই কার্যক্রম শুরু করেছি।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘গতবার একজন বৃদ্ধা বলেছিলেন, এক কেজি মাংস কেনার সাধ্য তো আমার নেই। আমি তো আমার সন্তানকে মাংস খাওয়াতে পারব না। দুধ ছোট প্যাকেটে, ডিম অল্প পরিমাণে, মাংস আধা কেজি পর্যন্ত প্যাকেটে রাখব। যাতে একেবারে নিম্ন পর্যায়ের মানুষও যেন তাদের সাধ্যের মধ্যে তিনি যেন কিনতে পারেন। এখন যে দাম ধরা হয়েছে, তার চেয়ে বাড়বে না। উৎপাদন খরচ কমলে এসব পণ্যেরও মূল্য কমবে।’

প্রাণিসম্পদসচিব নাহিদ রশিদ বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় সাধারণ একজন ক্রেতার কথা চিন্তা করে মূল্য ছাড় দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকে। সে জন্যই বোধ হয় আমরা আয়োজন করতে পেরেছি, সুলভ মূল্যে প্রাণিজ আমিষ পেতে পারে।’

উদ্বোধনের পর দুধ, ডিম, মাংস নিয়ে ফ্রিজিংভ্যানগুলো গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাজধানীর ২০টি স্থানে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে।

এবার গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড (চামড়া ছাড়া) ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে। গরু, খাসি ও মুরগির মাংস আধা কেজি করে কেনা যাচ্ছে।

বিক্রির স্থানগুলো হলো সচিবালয়সংলগ্ন আবদুল গণি রোড, খামারবাড়ি, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ষাট ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, মিরপুরের কালশী, খিলগাঁও রেলগেট, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুরের বছিলা, উত্তরার দিয়াবাড়ী, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী, হাজারীবাগ, বনানীর কড়াইল বস্তি, কামরাঙ্গীর চর ও রামপুরা।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :