April 23, 2024, 6:05 pm

গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশু মৃত্যুর জন্য দায়ী কাশির সিরাপের পদার্থ প্রাণ কেড়েছিল ভারতেও!

দৈনিক পদ্মা সংবাদ।visit our online portal for latest bangla news 24/7 www.padmasangbad.com

ভারতীয় এক সংস্থার তৈরি করা চারটি কাফ সিরাপের কারণে নাকি গাম্বিয়ায় শিশুদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জানা গিয়েছে, হরিয়ানার মেডেন ফার্মার তৈরি প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মাকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড নামক কাশির সিরাপ ঘিরে যত বিতর্ক। এই সিরাপগুলিতে থাকা পদার্থ এককালে ভারতেও মৃত্যু ঘটিছিল বলে জানা গেল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাতে আসা প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ওষুধগুলির পরীক্ষিত নমুনায় মিলেছে ডাইইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল। এই দুই পদার্থ শরীরে প্রবেশ করলে পেটব্যথা, বমি, মূত্রত্যাগের সমস্যা ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এরপরই এই কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে নামে ভারতের ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। তবে জানিয়ে দেওয়া হয়, বর্তমানে ভারতে মেডেন ফার্মা কোনও ওষুধ বিক্রি করছে না। তবে এখন না হলেও বহু আগে এই পদার্থ ব্যবহৃত হত ভারতেও। আর তা প্রাণ কেড়েছিল বহু শিশুরও।

জানা গিয়েছে, দিল্লিতে ১৯৯৮ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে ৩৬ জন শিশু ডাইইথিলিন গ্লাইকল নামক এই পদার্থগুলির সেবনের কারণে প্রাণ হারিয়েছিল। জানা যায়, মৃত শিশুদের ২৬ জনই গুরুগ্রামের ছিল। এবং গুরুগ্রাম ভিত্তিক একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার কাশির ওষুধেই এই বিপত্তি ঘটেছিল। মৃত সব শিশুরই কিডনির সমস্যা হয়েছিল।

এরপর ডিসেম্বর ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারির মধ্যে উধমপুরের রামনগর এবং জম্মুর বিষ্ণায় ১৪টি শিশুর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কাশির সিরাপটিতেও একই রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছিল। কোল্ডবেস্ট-পিসি ব্র্যান্ড নামে বিক্রি হওয়া কাশির সিরাপটি হিমাচলপ্রদেশের একটি কারখানায় তৈরি করা হত বলে জানা গিয়েছে। তবে এই পদার্থ দিল্লির এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আম্বালা হয়ে সেই ওষুধ প্রস্তুতকারক শংস্থার কাছে গিয়েছিল এই ‘বিষাক্ত পদার্থ’।
সুত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :