April 24, 2024, 6:55 am

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর

অনলাইন ডেস্ক।।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর অফিসে পাল্টাপাল্টি হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলামের অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উপজেলার হারদী ইউনিয়ন পরিষদের হারদী বাজারে গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর হয়। প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচনি অফিস স্থাপন বা প্রচার-প্রচারণা আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল বলছে নির্বাচন কমিশন।

গণমুখী সমবায় ভাবনার আলোকে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থী আশিকুজ্জামান ওল্টুর কর্মী-সমর্থকরা আমার কর্মীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। শুক্রবার রাতে তারা আমার নির্বাচনি অফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি মাটিতে ফেলে ভাঙচুর করে। ওই সময় আমার কর্মীরা অফিসে ছিল না। এ ঘটনার পর আমার সমর্থকরা তাদের অফিসে হামলা বা ভাঙচুর করেনি।’

হারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিদ্রোহী প্রার্থী আশিকুজ্জামান ওল্টু বলেন, ‘শুক্রবার রাতে হারদী বাজারে কয়েকটি চেয়ার নিয়ে অস্থায়ী অফিসের মতো করে আমার সমর্থকরা বসেছিল। এ সময় তাদের ওপর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুরুল ইসলামের সমর্থকরা হামলা চালায়। এতে আমার পাঁচ কর্মী আহত হয়।’
আহতরা হলেন পিল্টু মিয়া, আশিক মোল্লা, লিটন শেখ, মে. রাব্বি ও সিয়াম আলী।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপাতে চাচ্ছেন।’
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে কোনো পক্ষই এখনও থানায় অভিযোগ করেনি।

হারদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আনারুল ইসলাম জানান, আগামী ২৮ নভেম্বর আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদীসহ ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।।

গত ৪ নভেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এখনও প্রতীক বরাদ্দ হয়নি। তবে প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচনি অফিস স্থাপন ও প্রচার-প্রচারণা আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :