একদিন নিরিবিলি রাস্তায় চলার পথে সত্য ও মিথ্যা
দুই বন্ধুর মুলাকাত হইলো।উভয়ই কুশলমঙ্গল করে
আলোচনা শুরু করলেন।
মিথ্যাঃ বলেন বন্ধু ইবাদতের সময় হয়েছে। চলো গোছল করে নেই, এই দেখো এই পুকুরের পানি কতো সুন্দর পরিষ্কার!
সত্যঃ জানে যে তার বন্ধু মিথাবাদী তাই সত্য নিজে এগিয়ে গিয়ে পানি হাতে নিয়ে দেখলেন সত্যিই পানি পরিষ্কার। তাই বললেন হে এসো দুজনেই গোসল করে
প্রবিত্র হই ইবাদতের জন্য। এবার সত্য মিথ্যা দুজনেই
পুকুর পাড়ে কাপর-চোপর রেখে জ্বলে নামলেন গোছল করতে।
মিথ্যাঃ ওক পেরে রইলেন, সত্য যখনি জ্বলে ডুব দিলেন সাথে সাথে মিথ্যা টানে উঠে সত্যের জামাকাপড় নিয়ে পালিয়ে গেলেন। ও সত্যের পোশাক পরিধান করে সমাজে সম্মানিত ও প্রতিষ্ঠিত হইলেন।
সত্যঃ বেচারা মিথ্যার এমন নির্মম কর্মে দুঃখী হয়ে ইজ্জত হাড়ানোর ভয়ে আর উপরে আসতে পাড়লেননা। সারাদিন জ্বলের মাঝেই বসে রইলেন।সারাদিন জ্বলে ভিজে শরীরে হিদ্লা পড়েগেছে যা দেখতে অনেকটা বিচ্ছিরি ও শরিরের ভিতরে ঠান্ডায় জমাট বেধে শরীরকে দুর্বল করে কম্পন সৃষ্টি করে দিয়েছে। দিনের আলো ঘুনিয়ে যখন রাতের আধার নেমে এলো তখন সত্য তার হিদ্লা পড়া দুর্বল উলঙ্গ বিচ্ছিরি দেহ নিয়ে জ্বলের বাহির এলো। সত্য বড় অসহায় হয়ে ভাবলেন এমন হালে জনসমাজে জাওয়া সম্ভব নহে তাই তিনি আপন ইজ্জত বাচাতে মনের দুঃখে রাতের আধারেই গোহিন জঙ্গলে অবস্থান নিলেন।
মন্তব্য
“””””””””
সেদিন থেকে আর সত্যকে দেখা যায়নি জনসমাজে।
যদিওবা মাঝে সাজে দেখা মেলে দু একজন সত্যের চেলার, তাও হয়তো অল্প কিছু দিনের জন্য। যে সব সত্যের চেলাগন ভূল করে চলে আসেন এই মহারাজ মিথ্যার রাজ্যে, তাহাদের ঠাই মিলেনা এথায়। অপমান লাঞ্চিত হয়ে পুনরায় ফিরে যেতে হয় জনমানবহীন জঙ্গলে,নয়তোবা মিথ্যা রাজের সেনাদের খঞ্জরের আঘাতে আহত হয়ে, হতে হয় পরলোকবাসী।
যতো মণি ঋষি হলো জঙ্গল বাসি
নিজেকে করে তুচ্ছ,
কোন বোধ থেকে হে সত্যের দিশারী
সত্যকে এথায় খুচ্ছ?
ভূল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন, ইহা একটি শোনা গল্প
প্রকাশভঙ্গিতে(সুলতান পাগলা)।
Leave a Reply