সংবাদ দাতা : সংগ্রাম মিত্র (কলকাতা )।।
পশ্চিম বঙ্গে তৃণমূল সরকারের অধীন বর্তমানে তিন জন বিধায়ক জেলে এঁদের মধ্যে শাসক দলের দুই বিধায়ক যথাক্রমে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় , শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ও কোটি কোটি টাকা তাঁর বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়ার কারণে , এবং একই অভিযোগে বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য জেলে। ওপর দিকে গণতান্ত্রিক দল ISF এর একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী অন্যায়ের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচির কারণে রাজ্য পুলিশ অমানবিক অগণতান্ত্রিকভাবে গ্রেফতার করেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্ল্যেখ থাকে যে নওসাদ সিদ্দিকী ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ধর্মগুরু পরিবারের , নানাসাহেব ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। জাতি , ধর্ম ,বর্ণ , সকলের কাছে ফুরফুরা শরীফ নয়নের মনি শ্রদ্ধার পবিত্র স্থান।
এই গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে শুধু ধর্মগুরু নয় সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সুর ছড়িয়েছেন , রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন সকল নেতৃত্ব।
অন্যদিকে গতকাল একটি সভায় মানবাধিকার কাউন্সিল ICHFR এর পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। গণতান্ত্রিকভাবে সবার অধিকার আছে সভা সমাবেশ আন্দোলন করতে পারেন। কিন্তু যেভাবে বিধায়ককে লাঠিচার্জ করা হয় এবং কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ তা অন্যায় সংবিধান বিরোধী। প্রয়োজনে তাঁরাও আন্দোলনে সামিল হবেন বলে জানান ন্যাশনাল কনভেনর পার্থ মুখার্জী সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বগণ ।
নওশাদের মুক্তির দাবিতে কলকাতায় মিছিল, ঘটকপুকুরে আক্রান্ত পুলিশ
আজ কলকাতায় মিছিলের ডাক নাগরিক মঞ্চের। সংঘটিত হয়েছে শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল। অন্যদিকে নওশাদের মুক্তির দাবিতে ঘটকপুকুরে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আহত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মীও। এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা
ঘটকপুকুর,
নওশাদের মুক্তির দাবি
কলকাতায় নাগরিক মঞ্চের মিছিল
ঘটকপুকুরে পুলিশকে সিরিঞ্জ মারার অভিযোগ
ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক (ISF MLA) নওশাদ সিদ্দিকীর (Naushad Siddiqui) মুক্তির দাবি ক্রমশই জোরালো হচ্ছে। গতকাল ডানকুনি মোড়ে বিশাল জনসমাবেশ হয় । অন্যদিকে নওশাদের মুক্তির দাবিতে ঘটকপুকুরে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আহত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মীও। এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা।
জানা যায় আজ বাসন্তী হাইওয়ের ধারে ঘটকপুকুর মোড়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এক আইএসএফ সমর্থক। বিক্ষোভকারী ওই আইএসএফ সমর্থকের নাম আবদুল বসির মিস্ত্রি। তাঁর হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘ভাইজানের মুক্তি চাই’। একইসঙ্গে হাতে সিরিঞ্জ নিয়ে আত্মহত্যারও হুমকি দিচ্ছিলেন তিনি। খবর পেয়ে ভাঙড় থানার আইসির নেৃতত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
অভিযোগ, ওই বিক্ষোভকারী আইএসএফ সমর্থককে আটক করতে গেলে হাতের সিরিঞ্জ নিয়ে এক পুলিশ কর্মীকে তিনি আঘাত করেন। তাতে আহত হন পুলিশ কর্মী | এরপর গ্রেফতার করা হয় ঐ আইএসএফ সমর্থককে। আইএসএফ সমর্থক কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে আহত পুলিশ কর্মীকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
Leave a Reply