অনলাইন ডেস্ক।
আসন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম বন্ধে পরীক্ষকদের ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরীক্ষকদের নজরদারিতে রাখার পাশাপাশি একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে লটারি করে পরীক্ষক কোন কেন্দ্রে ডিউটি করবেন তা নির্ধারণ হবে এবং পরীক্ষা শুরুর এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগে তাকে জানানো হবে।
রোববার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফরের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। যেখানে পরীক্ষকদের ডিউটি লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পরীক্ষার দিন পরীক্ষকরা জেলার নিদিষ্ট একটি জায়গায় অবস্থান করবেন। এক ঘণ্টা আগে লটারির মাধ্যমে তার কেন্দ্র জানিয়ে দেয়ার পর তিনি সেখানে যাবেন। জেলা শিক্ষা অফিস ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এটি করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, এবার সহকারী শিক্ষক নিয়োগে আরও স্বচ্ছতা আনতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত পরীক্ষককে নজরদারির মধ্যে রাখা এবং তাদের ডিউটি লটারির মাধ্যমে ঠিক করা। কারণ সর্বশেষ ২০১৮ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসসহ যেসব অনিয়ম হয়েছে তার বেশিরভাগ হয়েছে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে।
তিনি আরও বলেন, সে জন্য দুইদিন আগে নয় এবার পরীক্ষকের কেন্দ্র এক ঘণ্টা আগে জানানো হবে। সেজন্য বুয়েট ও ডিপিই টেকনিক্যাল কমিটি এ সংক্রান্ত কাজ প্রায় শেষ করেছে।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় প্রাক-প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে রাজস্ব খাতে ৬ হাজার ৯৪৭ জন অর্থাৎ মোট ৩২ হাজার ৫৭৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর বিপরীতে প্রায় ১৩ লাখের বেশি আবেদন পড়েছে
Leave a Reply