April 26, 2024, 11:18 pm

প্রিয়ঙ্কা চোপড়া নয়, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় গ্রামের মেয়েরা! মুগ্ধ অভিনেত্রী

দৈনিক পদ্মা সংবাদ।
visit for latest bangla news 24/7
www.padmasangbad.com

ওরা কেউ প্রিয়ঙ্কা চোপড়া হতে চায় না, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হয়ে পরিবারকে ভাল রাখতে চায়। দেশের দুঃস্থ মেয়েদের পড়াশোনার ইচ্ছা দেখে আপ্লুত প্রিয়ঙ্কা নিজেই। ভারত সফর শেষে ভাগ করে নিলেন শক্তিশালী নারীদের সঙ্গে দেখা হওয়ার অভিজ্ঞতা।

তিন বছর পর ভারত সফরে এসেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। দেশে ফিরে যাওয়ার সময় হয়ে এল প্রায়। নিখাদ ছুটি কাটাতে নয়, ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর হিসাবে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়েই এসেছিলেন ‘দেশি গার্ল’। যার সফল প্রয়োগ শেষে প্রিয়ঙ্কা জানালেন, খুশি মনেই ফিরতে পারবেন। জানান, এ দেশের মেয়েরা তাঁকে মুগ্ধ করেছে।

মুম্বইয়ে নিজের ফ্যাশন সংস্থার সঙ্গে জরুরি মিটিং সেরেই অভিনেত্রী রওনা দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশে। লখনউ এবং অন্যান্য এলাকার সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শন করে নারীদের হাল হকিকতের বিষয়ে খোঁজ নেন। গ্রামীণ এলাকায় মেয়েরা ঠিক মতো পরিষেবা পাচ্ছেন কি না, তার পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখেন। সেই সঙ্গে কথাও বলেন মহিলা, শিশু ও কিশোরীদের সঙ্গে।

সব দিক দেখেশুনে প্রিয়ঙ্কার দাবি, ধীরে ধীরে বিকাশ ঘটলেও তিনি আশা দেখছেন, ভারত উন্নয়নশীল দেশ থেকে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে অচিরেই। মহিলারা আইনি সহায়তা, চিকিৎসা এবং অন্যান্য সুবিধা পাচ্ছে। অ্যাপগুলি অঙ্গণওয়াড়ি কর্মীদের হদিস রাখা সহজ করে দিয়েছে। আর চিন্তা কী!

গোটা সফরে অনেক মেয়েকে কাছ থেকে দেখেছেন অভিনেত্রী, যারা তাদের শিক্ষার অধিকারের জন্য লড়াই করছে। তাদের সঙ্গে কথা হওয়ার পর প্রিয়াঙ্কা বললেন, “আমি স্কুলছুট মেয়েদের সঙ্গে দেখা করেছি। ওদের স্কুল থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যাতে ভাইয়েরা পড়াশোনো করতে পারে। এই মেয়েদের অনেকেই যৌন নির্যাতনের শিকার। ওদের বন্ধুদের কাউকে কাউকে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। তবু, আমি খুশি যে মেয়েরা পড়াশোনা করতে চাইছে। তাদের কেউই প্রিয়াঙ্কা চোপড়া হতে চায়নি… তারা ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছে। পরিবারকে দারিদ্র্য থেকে বার করে আনতে চেয়েছে। আমি খুব অনুপ্রাণিত হয়ে ফিরছি। এক জন নতুন মা হিসাবে এই মেয়েদের মধ্যে যে শক্তি দেখেছি তা আমার নিজের মেয়ের মধ্যেও কামনা করছি। দেশের মেয়েরা সত্যিই শিক্ষিত হওয়ার জন্য খুব কঠিন লড়াই করছে। আমি বলব শেখার কোনও বয়স নেই। ওরা পারবে।”

প্রিয়ঙ্কা আরও জানান, মেয়েরা নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করলে, তাদের পরিবারও সমৃদ্ধ হবে। আরও উন্নত ভারত গড়তে সমস্ত নারীকে স্বনির্ভর হতে হবে। যে দিন আর বেশি দূরে নেই বলেই মনে করছেন নায়িকা।
সুত্রঃ আনন্দ বাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :