নকল সার্টিফিকেট দিয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক।।
নকল সার্টিফিকেট দিয়ে মাদারীপুর শিবচরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েছেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে অবশেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের লিখিতপত্রে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের মাস্টার্সের সনদটি নকল ও জালিয়াতির বিষয়ে প্রমাণিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের মাস্টার্স ভর্তির কোনো তথ্য উপাত্ত ঢাকা কলেজের ভর্তি রেজিস্ট্রারে পাওয়া যায়নি। তবে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের মাস্টার্স ভর্তিসহ তথ্য-উপাত্ত প্রমাণাদি দিয়ে তিনি এ জালিয়াতি করেছেন বলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ লিখিতপত্রে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার ভুইঘর পশ্চিমপাড়া গ্রামের শাহাবুদ্দিন সাউদ ও রাশিদা বেগমের ছেলে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শিবচরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তার মাস্টার্সের সনদ ব্যবহার করে চাকরি করছেন। ২ ব্যক্তির দাবিকৃত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজে ২০০৯-১০ বছরে মাস্টার্স ইংরেজি বিষয়ে মাস্টার্স সনদে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন এবং নাম মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম একই। এ কারণে সনদটি যাচাই করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস দুটি সনদেরই ফটোকপি যাচাই করে মতামত প্রদান করে। এতে ১নং অর্থাৎ প্রধান শিক্ষকের সাময়িক সনদের ফটোকপি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী সঠিক নয় এবং ২নং সাময়িক সনদপত্র সঠিক বলে প্রেরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান জানান, ২৪ দিন পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের জবাব পাওয়া গেছে। সেখানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মো. রফিকুল ইসলামের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এখন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ১০:০২:৫০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

নকল সার্টিফিকেট দিয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

Update Time : ১০:০২:৫০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

অনলাইন ডেস্ক।।
নকল সার্টিফিকেট দিয়ে মাদারীপুর শিবচরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েছেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে অবশেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের লিখিতপত্রে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের মাস্টার্সের সনদটি নকল ও জালিয়াতির বিষয়ে প্রমাণিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের মাস্টার্স ভর্তির কোনো তথ্য উপাত্ত ঢাকা কলেজের ভর্তি রেজিস্ট্রারে পাওয়া যায়নি। তবে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের মাস্টার্স ভর্তিসহ তথ্য-উপাত্ত প্রমাণাদি দিয়ে তিনি এ জালিয়াতি করেছেন বলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ লিখিতপত্রে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার ভুইঘর পশ্চিমপাড়া গ্রামের শাহাবুদ্দিন সাউদ ও রাশিদা বেগমের ছেলে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শিবচরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তার মাস্টার্সের সনদ ব্যবহার করে চাকরি করছেন। ২ ব্যক্তির দাবিকৃত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজে ২০০৯-১০ বছরে মাস্টার্স ইংরেজি বিষয়ে মাস্টার্স সনদে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন এবং নাম মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম একই। এ কারণে সনদটি যাচাই করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস দুটি সনদেরই ফটোকপি যাচাই করে মতামত প্রদান করে। এতে ১নং অর্থাৎ প্রধান শিক্ষকের সাময়িক সনদের ফটোকপি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী সঠিক নয় এবং ২নং সাময়িক সনদপত্র সঠিক বলে প্রেরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান জানান, ২৪ দিন পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের জবাব পাওয়া গেছে। সেখানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মো. রফিকুল ইসলামের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এখন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।।