বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়: মামুনুল হক

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক।।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মাধ্যমে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে কেউ কেউ আমার নাম জড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু অত্যন্ত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, আমার কোনো বক্তব্যের মাধ্যমে অথবা আমার কোনো কথায় এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়ার কোনো কথা আমি বলিনি।
দেশের আইন-শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনো ব্যক্তি এমনটা কখনও করতে পারেন না।
সোমবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে ‘ভাস্কর্য নিয়ে বিরোধ, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতির’ ওপর দেয়া বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, আমার বক্তব্য হলো ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে ভাস্কর্য রাখা নাজায়েজ ও হারাম- সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আমি জানিয়ে দিয়েছি এবং আমরা আমাদের বক্তব্যে এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছি। যদি আল্লাহ কখনও আমাদের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সক্ষমতা দান করেন তাহলে শরিয়াহর আলোকে সকল কার্যক্রম ঢেলে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।
মামলার প্রসঙ্গে মামুনুল হক বলেন, আমি বারবার বলছি আমাদের বক্তব্যে নিজেদের মতামত, মনগড়া ব্যাখ্যা বিকৃতরূপে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রদ্রোহের বুনিয়াদ সাজিয়েছে। সারা দেশের আলেমরা বলছেন, আমাদের বক্তব্য কখনোই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়। বরং স্বাধীনতার মহান নেতা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানকে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সকল বাংলাদেশি, সকল বাঙালি শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। একজন মুসলিম হিসেবে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি।।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ১০:২২:০২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়: মামুনুল হক

Update Time : ১০:২২:০২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

অনলাইন ডেস্ক।।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মাধ্যমে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে কেউ কেউ আমার নাম জড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু অত্যন্ত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, আমার কোনো বক্তব্যের মাধ্যমে অথবা আমার কোনো কথায় এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়ার কোনো কথা আমি বলিনি।
দেশের আইন-শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনো ব্যক্তি এমনটা কখনও করতে পারেন না।
সোমবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে ‘ভাস্কর্য নিয়ে বিরোধ, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতির’ ওপর দেয়া বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, আমার বক্তব্য হলো ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে ভাস্কর্য রাখা নাজায়েজ ও হারাম- সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আমি জানিয়ে দিয়েছি এবং আমরা আমাদের বক্তব্যে এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছি। যদি আল্লাহ কখনও আমাদের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সক্ষমতা দান করেন তাহলে শরিয়াহর আলোকে সকল কার্যক্রম ঢেলে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।
মামলার প্রসঙ্গে মামুনুল হক বলেন, আমি বারবার বলছি আমাদের বক্তব্যে নিজেদের মতামত, মনগড়া ব্যাখ্যা বিকৃতরূপে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রদ্রোহের বুনিয়াদ সাজিয়েছে। সারা দেশের আলেমরা বলছেন, আমাদের বক্তব্য কখনোই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়। বরং স্বাধীনতার মহান নেতা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানকে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সকল বাংলাদেশি, সকল বাঙালি শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। একজন মুসলিম হিসেবে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি।।