রোকনুজ্জামান কুষ্টিয়া প্রতিনিধি॥
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন-২০২১ উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুৎফুন নাহার প্রেস ব্রিফিং করেন তিনি বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন ২০২১ উপলক্ষে বিগত ০২/১২/২০২০ ইং তারিখ তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। উক্ত পৌরসভায় মোট সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ২১ টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সংখ্যা ৭ টি, ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬২ টি, ভোট কক্ষর সংখ্যা ৪৩৮ টি, অস্থায়ী ভোট কক্ষ সংখ্যা ১৫ টি, পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৭০৭৮৯, মহিলা ভোটার সংখ্যা ৭৫৬৩৪ এবং মোট ভোটার সংখ্যা ১৪৬৪২৩ জন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র গ্রহণ, যাচাই বাছাই এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। বিগত ২০/১২/২০২০ ইং তারিখে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে মেয়র পদে ৩ টি, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৩৬ টি, এবং সাধারন আসনের কাউন্সিলর পদে ১১৫ টি মনোনয়ন রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট জমা পড়ে। সকল জমাকৃত মনোনয়ন পত্র ২২/১২/২০২০ ইং তারিখে যাচাই বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। যাচাই-বাছাইকালে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ০১ জন মনোনয়ন দাখিল কারীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এবং মেয়র পদে ৩ জন , সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন, এবং সাধারন আসনের কাউন্সিলর পদে ১১৫ জন মনোনয়ন দাখিল কারীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে বিগত ২৯/১২/২০২০ তারিখ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা ছিল।
এই সময়সীমার মধ্যে সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ০১ জন সাধারন আসনের সদস্য পদে ১৫ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের পর অদ্য ৩০/১২/২০২০ ইং তারিখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়। প্রত্যাহারের পর ১৪, ১৫ ও ১৯ নং সাধারন আসনের কাউন্সিলর পদে একজন করে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬/০১/২০২১ তারিখে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন। নির্বাচনী আচরণবিধি সঠিকভাবে প্রতিপালন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য আজ থেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন এবং নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হলে তা আমলে নিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য মাঠ পর্যায়ে ভিজিলেন্স টিম স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণকে আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালানোর জন্য বলা হয়েছে।
Leave a Reply