আজ ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ৫৫ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী-মমিনুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রামের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুজিববর্ষে‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রামসহ দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে গৃহ প্রদান নীতিমালা-২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিগত জুন/২০২০ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকগণের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন মোট ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প একক গৃহ নির্মাণের সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। মুজিববর্ষে ২১টি জেলার ৩৬টি উপজেলায় ৪৪টি প্রকল্পগ্রামে ৭৩৪টি ব্যারাক নির্মানের মাধ্যমে ৩ হাজার ৭১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। একই সাথে ৬৯ হাজার ৯০৪ জন ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৩ জানুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রামের ৫৩৮টি সহ দেশের ৫৫ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে একযোগে গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন।
আজ ২১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) এস.এম জাকারিয়াসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প থেকে প্রদত্ত নমুনা মোতাবেক দলিল, নামজারী, ও গৃহ প্রদানের সনদ প্রতিটি উপকারভোগীদের মাঝে পৃথক ফোল্ডার করে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুুত রাখা হয়েছে। গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পূর্বে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার মধ্যে ৮টি উপজেলায় মোট ৫৩৮টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। তন্মধ্যে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৬৫টি, পটিয়া উপজেলায় ১১৫টি, চন্দনাইশ উপজেলায় ৭৫টি, সাতকানিয়া উপজেলায় ৩০টি লোহাগাড়া উপজেলায় ১৮টি, বাঁশখালী উপজেলায় ২৫টি, ফটিকছড়ি উপজেলায় ১৮৫টি ও কর্ণফুলী উপজেলায় ২৫টি। ইতোমধ্যে ২৩৮টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন উন্নতমানের সামগ্রী দিয়ে প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এগুলোতে চলাচলের রাস্তাসহ বিদ্যুৎ ও পানি সুবিধা রয়েছে। চলতি ২০২১ সালের ১৭ মার্চের মধ্যে গৃহ ও ভূমিহীনদের মাঝে আরো ১ হাজার ১৩৬ টি ঘর দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর পর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্থানীয় মাননীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ উপকারভোগীদের মাঝে গৃহের দলিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করবেন।
এছাড়া বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিজস্ব অর্থায়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য রাউজান উপজেলায় ৫৪টি ও সীতাকুন্ড উপজেলায় ২টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। যাদের জমি আছে কিন্তু অস্বচ্ছল তাদেরকে নিজ জায়গায়, যারা ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল তাদেরকে সরকারি খাস জায়গায় গৃহ নির্মাণ করে দেবে সরকার। সরকার কাউকে গৃহহীন থাকতে দেবেনা।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এখনই গৃহ নির্মাণ উপযোগী ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারের জন্য একক গৃহ নির্মাণের অর্থ বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনা বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উদ্যোগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। মোহাম্মদ মমিনুর রহমান আরো বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর সর্বপ্রথম জাতির পিতা দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহন করেন। ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা তৎকালীন নোয়াখালী জেলার চরপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন।।দ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :