চুয়াডাঙ্গা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এই ব্রিগেড দলের নয়, বাংলা বাঁচানোর”, আব্বাস সিদ্দিকী

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক : ব্রিগেডের সমাবেশে (Brigade Meeting) মানুষকে আসতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। অভিযোগ করলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front) প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী বা ভাইজান। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আক্রমণের জবাব মানুষ গণতান্ত্রিকভাবেই দেবেন।”
আব্বাস সিদ্দিকী তাঁর কথায় বুঝিয়ে দেন, কোনওভাবেই মানুষের ওপর অত্যাচারের রাজনীতি তারা সহ্য করবে না। বাংলাকে রক্ষা করে রাজ্যের মানুষকে সমস্যা থেকে রক্ষা করতে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বাম, কংগ্রেস-এর সঙ্গে জোটে গেছেন। এই জোটের লক্ষ্য মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক করে মানুষের সমস্যা সমাধান করতে হবে।

এদিন আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, “২৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশ কোনও দলের নয়। বাংলা বাঁচানোর সমাবেশ।” তিনি বলেন, “ডানকুনিতে মিছিলে আসা গাড়ি আটকে দেওয়া হচ্ছে। গাড়ির লম্বা লাইন পরে গেছে। আমি প্রশাসনের কাছে বলবো এসব না করতে। বাংলার মানুষ বাংলার গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য ছুটে আসছেন। বেকার যুবক, যুবতীরা চকরির জন্য ছুটে আসছেন। পিছিয়ে পড়া মানুষ তাদের অধিকার রক্ষার জন্য ছুটে আসছেন ব্রিগেডের দিকে। এটা অধিকার রক্ষার ব্রিগেড। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো, এই মিছিলকে সঠিক ভাবে ব্রিগেড সমাবেশে আসতে দিন।”
এদিন আব্বাস সিদ্দিকী অভিযোগ করেন, “দুর্গাপুরে তৃণমূল (Trinamul) কর্মীরা আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করেছে। তৃণমূল পার্টি মানুষের সঙ্গে এখনও দুর্ব্যবহার করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। আমরা তৃণমূলের এই আক্রমণের জবাব গণতান্ত্রিকভাবে মানুষের মাধ্যমে দেব।”

আব্বাসের কর্মীরা এদিনের ব্রিগেড সমাবেশে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের বহু মানুষ আসেন। আব্বাস সিদ্দিকী এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমি ভাইজান রাজ্যকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে ডাক দিয়েছিলাম। বলেছিলাম ব্রিগেড আসতে বাধা দেবে। কিন্তু তোমাদের আসতে হবে। সবাই আমার কথা শুনেছেন। তারা এসেছেন। সেই মানুষই মমতার এই অত্যাচারের জবাব দেবেন।” এই মানুষের ভিড় কতটা ভোটার বাক্সে নিয়ে যেতে পারবে বাম, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের জোট সেটাই বড় লড়াই, তবে এই লড়াইয়ে যেটাই জোটের আসল লক্ষ্য, সেটা আব্বাস সিদ্দিকী তাঁর কথায় বুঝিয়েছেন।।

আপডেট : ০৪:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

এই ব্রিগেড দলের নয়, বাংলা বাঁচানোর”, আব্বাস সিদ্দিকী

আপডেট : ০৪:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

অনলাইন ডেস্ক : ব্রিগেডের সমাবেশে (Brigade Meeting) মানুষকে আসতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। অভিযোগ করলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front) প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী বা ভাইজান। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আক্রমণের জবাব মানুষ গণতান্ত্রিকভাবেই দেবেন।”
আব্বাস সিদ্দিকী তাঁর কথায় বুঝিয়ে দেন, কোনওভাবেই মানুষের ওপর অত্যাচারের রাজনীতি তারা সহ্য করবে না। বাংলাকে রক্ষা করে রাজ্যের মানুষকে সমস্যা থেকে রক্ষা করতে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বাম, কংগ্রেস-এর সঙ্গে জোটে গেছেন। এই জোটের লক্ষ্য মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক করে মানুষের সমস্যা সমাধান করতে হবে।

এদিন আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, “২৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশ কোনও দলের নয়। বাংলা বাঁচানোর সমাবেশ।” তিনি বলেন, “ডানকুনিতে মিছিলে আসা গাড়ি আটকে দেওয়া হচ্ছে। গাড়ির লম্বা লাইন পরে গেছে। আমি প্রশাসনের কাছে বলবো এসব না করতে। বাংলার মানুষ বাংলার গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য ছুটে আসছেন। বেকার যুবক, যুবতীরা চকরির জন্য ছুটে আসছেন। পিছিয়ে পড়া মানুষ তাদের অধিকার রক্ষার জন্য ছুটে আসছেন ব্রিগেডের দিকে। এটা অধিকার রক্ষার ব্রিগেড। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো, এই মিছিলকে সঠিক ভাবে ব্রিগেড সমাবেশে আসতে দিন।”
এদিন আব্বাস সিদ্দিকী অভিযোগ করেন, “দুর্গাপুরে তৃণমূল (Trinamul) কর্মীরা আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করেছে। তৃণমূল পার্টি মানুষের সঙ্গে এখনও দুর্ব্যবহার করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। আমরা তৃণমূলের এই আক্রমণের জবাব গণতান্ত্রিকভাবে মানুষের মাধ্যমে দেব।”

আব্বাসের কর্মীরা এদিনের ব্রিগেড সমাবেশে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের বহু মানুষ আসেন। আব্বাস সিদ্দিকী এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমি ভাইজান রাজ্যকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে ডাক দিয়েছিলাম। বলেছিলাম ব্রিগেড আসতে বাধা দেবে। কিন্তু তোমাদের আসতে হবে। সবাই আমার কথা শুনেছেন। তারা এসেছেন। সেই মানুষই মমতার এই অত্যাচারের জবাব দেবেন।” এই মানুষের ভিড় কতটা ভোটার বাক্সে নিয়ে যেতে পারবে বাম, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের জোট সেটাই বড় লড়াই, তবে এই লড়াইয়ে যেটাই জোটের আসল লক্ষ্য, সেটা আব্বাস সিদ্দিকী তাঁর কথায় বুঝিয়েছেন।।