জেলা প্রতিনিধি-
আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে।এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়ছে নিন্ম ও মধ্যম আয়ের মানুষ। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষ গুলো পরিবার পরিজন নিয়ে আছে চরম উৎকন্ঠা আর সীমাহীন দূর্ভোগে। হিসেব মিলছে না তাদের আয় ব্যায়ের সমীকরণে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাজার সমূহে মোটা চাল (গুটি স্বর্না) প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, পাইজাম চাল প্রতি কেজি ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, আটাশ চাল প্রতি কেজি ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা, খোলা আটা প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩২ টাকা, প্যাকেট আটা প্রতি কেজি ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা, খোলা ময়দা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, প্যাকেট ময়দা প্রতি কেজি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, বুটের ডাল (এ্যাংকর) প্রতি কেজি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, মুশুর ডাল (বড়) প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, খোলা চিনি প্রতি কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা, খোলা গুড়া মরিচ প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, খোলা গুড়া হলুদ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রধান বানিজ্যিক এলাকা চৌমুহনী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কবির মিয়া জানান, বাজারে ক্রেতা সাধারণের চাহিদার তুলনায় পাইকারী ব্যবসায়ীরা কম আমদানি পাচ্ছে।এতে করে কিছুটা সংকট দেখা দেওয়ায় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। এছাড়াও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গুলো চাহিদার বিপরীতে আংশিক চড়া মূল্য নিচ্ছে যা মধ্যস্বত্তাভোগী থেকে ক্রমান্বয়ে ভোক্তা সাধারণের উপর এর প্রভাব পড়ছে।
এ বিষয়ে জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম তুষার জানান, বর্তমান সময়ে চাল, চিনি, সয়াবিন তেল এর দাম উর্ধমুখী।তবে আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে বাজারে নতুন ধানের চাল আসলে চালের বাজার স্থিতিশীল হতে পারে।
অন্যদিকে সয়াবিন তেল এবং চিনির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধির কারনে দেশীয বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে তবে সরকার এই বিষয়টি গুরুত্বের সহিত পর্যবেক্ষণ করছে। আশা করছি সরকার সেটিও স্বল্প সময়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে।
Leave a Reply