করোনার কারনে তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক।
সারাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড সংক্রমণে করণীয় নির্ধারণে’ আয়োজিত এক জরুরি সভায় জানানো হয়, করোনা সংক্রমণ রোধে ফের দুই সপ্তাহের জন্য সাজেকসহ রাঙামাটির সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে আরো বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
সভায় দুই সপ্তাহের জন্য অন্তর্বতীকালীন এই সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় বাড়তে পারে বলেও আভাস দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে এই সভায় প্রতিদিন রাত ৮টায় জেলার সকল দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মার্কেট বন্ধ, গণপরিবহনে সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন, হোটেল মোটেলে অর্ধেক টেবিল চেয়ার তুলে রেখে ভোক্তাদের সেবা প্রদান, আবাসিক হোটেল বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়।
এদিন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ১ এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহের জন্য জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সময় সারাদেশের মতো যানবাহনে সিট সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিতে পারবে। দুই আসনে একজন করে যেকোনো গণপরিবহণে মোট ৫০ ভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। এর পাশাপাশি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এরপর করোনা পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে আবাসিক হোটেল-মোটেল খোলা থাকবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক জানান, অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে হোটেলে অবস্থান করতে পারে। এ কারণে প্রত্যেক আবাসিক মোটেল-মোটেলেও যতটুকু আবাসনের ব্যবস্থা আছে তার অর্ধেক অতিথি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ১ এপ্রিল থেকে সকল ধরণের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলা হলেও আগে থেকে অনুমোদন দেওয়া কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে সীমিত আকারে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
এদিকে বুধবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে ১৪ দিন জেলার সব পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উচ্চ মাত্রার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশের মতো খাগড়াছড়িতে রাত ১০ টার পর জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও পরিবহন ছাড়া সাধারণের চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে সভা সমাবেশও বন্ধ থাকবে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, স্বাস্থ্যবিধি পালনে জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খাগড়াছড়ি পর্যটন এলাকা হওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া সাজেকও খাগড়াছড়ি হয়ে যেতে হয়। তাই সংক্রমণ রোধে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এবং নিজেদের স্বার্থে আপাতত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকাই উত্তম।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ১০:৪৮:৩৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১

করোনার কারনে তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

Update Time : ১০:৪৮:৩৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১

অনলাইন ডেস্ক।
সারাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড সংক্রমণে করণীয় নির্ধারণে’ আয়োজিত এক জরুরি সভায় জানানো হয়, করোনা সংক্রমণ রোধে ফের দুই সপ্তাহের জন্য সাজেকসহ রাঙামাটির সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে আরো বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
সভায় দুই সপ্তাহের জন্য অন্তর্বতীকালীন এই সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় বাড়তে পারে বলেও আভাস দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে এই সভায় প্রতিদিন রাত ৮টায় জেলার সকল দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মার্কেট বন্ধ, গণপরিবহনে সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন, হোটেল মোটেলে অর্ধেক টেবিল চেয়ার তুলে রেখে ভোক্তাদের সেবা প্রদান, আবাসিক হোটেল বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়।
এদিন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ১ এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহের জন্য জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সময় সারাদেশের মতো যানবাহনে সিট সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিতে পারবে। দুই আসনে একজন করে যেকোনো গণপরিবহণে মোট ৫০ ভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। এর পাশাপাশি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এরপর করোনা পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে আবাসিক হোটেল-মোটেল খোলা থাকবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক জানান, অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে হোটেলে অবস্থান করতে পারে। এ কারণে প্রত্যেক আবাসিক মোটেল-মোটেলেও যতটুকু আবাসনের ব্যবস্থা আছে তার অর্ধেক অতিথি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ১ এপ্রিল থেকে সকল ধরণের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলা হলেও আগে থেকে অনুমোদন দেওয়া কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে সীমিত আকারে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
এদিকে বুধবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে ১৪ দিন জেলার সব পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উচ্চ মাত্রার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশের মতো খাগড়াছড়িতে রাত ১০ টার পর জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও পরিবহন ছাড়া সাধারণের চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে সভা সমাবেশও বন্ধ থাকবে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, স্বাস্থ্যবিধি পালনে জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খাগড়াছড়ি পর্যটন এলাকা হওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া সাজেকও খাগড়াছড়ি হয়ে যেতে হয়। তাই সংক্রমণ রোধে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এবং নিজেদের স্বার্থে আপাতত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকাই উত্তম।