ঝিনাইদহ প্রতিনিধি।
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত দূরত্ব মাত্র
১৫ কিলোমিটার। এই ১৫ কিলোমিটারের মাঝে তিন কিলোমিটার রয়েছে
চলাচলের অনুপযোগি। মহাসড়টির এই অংশে পিচ-পাথর উঠে বড় বড় গর্ত
তৈরী হয়েছে। অনেক স্থানে এতো বড় গর্ত তৈরী হয়েছে যে, গর্তে পড়ে
প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। আর এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঝে মধ্যে
পিচ রাস্তায় ইটের সলিং করে আপাতত চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরেজমিনে খোজ নিয়ে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ছালাভরা,
বেজপাড়া, খয়েরতলা, নিমতলা বাসষ্টান্ড, মেইন বাসষ্টান্ড এলাকায়
বিটুমিন (পিচ) আর পাথর উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এই সকল
স্থানে বর্তমানে এমন অবস্থা বিরাজ করছে যা পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তির
কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। সৃষ্ট গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড়
দুর্ঘটনা। সড়ক বিভাগ থেকে মাঝে মধ্যে সংষ্কার করা হলেও সৃষ্টি হওয়া
গর্তগুলো ভালো হচ্ছে না। সংষ্কারের এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার গর্তের
সৃষ্টি হচ্ছে।
একাধিক যানচালক জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটির পিচ-পাথর উঠে
গর্ত তৈরী হয়। আম্পান ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিতে বেশি ক্ষতি হয়েছিল সড়কের।
এরপর কয়েকদফা গর্ত ভরাট করা হয়েছে, কিন্তু ২-৪ দিন পরই আবার পূর্বের
অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। সংষ্কার করা স্থানগুলো সপ্তাহ যেতে না যেতেই
আবারো ভেঙ্গে গর্তে পরিনত হচ্ছে। যে কারনে সড়কটি দিয়ে অত্যান্ত
ঝুকি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে।
ওই সড়কে চলাচলকারী গড়াই পরিবহনের চালক শরিফুল ইসলাম জানান, অত্যান্ত
ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে। বাসে যাত্রী নিয়ে হেলে-দুলে পথ চলা
যায় না। তারপরও উপায়ন্তর না পেয়ে তাদের চলতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান,
ভাঙ্গাচুরা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে গাড়ি ও সময়ের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো প্রতিনিয়ত বিকল হয়ে পড়ছে।
ট্রাক চালক আব্দুল হামিদ জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগ
হচ্ছে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়ক। যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে
ঝিনাইদহের উপর দিয়ে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচল
করে। মোংলা নৌবন্দর থেকেও মালামাল নিয়ে ট্রাক চালকরা এ জেলার উপরদিয়েই উত্তরবঙ্গে যান। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা,
রাজশাহী, ফরিদপুরসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী
বাসসহ পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। কিন্তু সড়কটির ঝিনাইদহ
থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ভেঙ্গেচুরে যাওয়ায় অতিরিক্ত সময়ের পাশাপাশি তাদের
ভোগান্তির শেষ নেই।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ
জিয়াউল হায়দার জানান, এই সামান্য সড়কটুকু নিয়ে তিনিও বিপদে
আছেন। চেষ্টা করছিলেন পিএমপি প্রকল্পের আওতায় সড়কটুকু সংষ্কারের।
সে লক্ষে উচ্চ পর্যায়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। আশা করছেন দ্রæত সড়কটি
সংষ্কারে বরাদ্ধ মিলবে তারাও কাজ করাতে পারবেন। তবে আপাতত চলাচলের
জন্য উপযোগি রাখতে ক্ষুদ্র মেরামত চলছে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply