মোঃ আব্দুর রহমান অনিক:চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা আজমপুরের সোনিয়া খাতুন ৪ কন্যা সন্তান জন্ম দিলেও বেঁচে নেই ৩ আর একজন চিকিৎসাধীন আছে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা মিশন হাসপাতালে।
আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে
দর্শনা পৌর শহরের আজমপুর মাঠ পাড়ার মৃত আরফান আলীর মেয়ে সোনিয়া খাতুন ( ৩০) দর্শনা মডার্ন ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে মৃত দুই কন্যা সন্তান জন্ম হয় । প্রসূতির অবস্থার অবনতি হলে তাকে তার পরিবারের লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত দর্শনা বাস স্ট্যান্ড শাপলা ক্লিনিকে ভর্তি করে। সিজার মাধ্যমে আরও দুই সন্তান সহ চার কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সোনিয়া খাতুন। দর্শনা পৌরসভার দক্ষিণ চাঁদপুর এলাকার মোসলেম সর্দারের ছেলে সেলিমের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (৩০) এর দাম্পত্য জীবনে আর কোন সন্তান না থাকায় । ভারতে গিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসা হওয়ার পরে আল্লাহ রহমতে সন্তান মূখ দেখেন এই দম্পতি।
সোনিয়া খাতুনের বড় ভাই নাসির উদ্দিন দৈনিক পদ্মা সংবাদ কে জানান, সোমবার সকালে সোনিয়ার প্রসব যন্ত্রণা উঠলে দ্রুত তাকে প্রথমে মর্ডান ক্লিনিকে নিয়ে যায়,পরে দর্শনা বাস স্ট্যান্ড শাপলা ক্লিনিক ভর্তি করা হয়। সেখানকার ডাক্তার নুপুরের তত্ত্বাবধানে সিজারের মাধ্যমে আরও দুই কন্যা সন্তান প্রসব করেন সোনিয়া খাতুন।
দর্শনায় শাপলা ক্লিনিকের মালিক জালাল উদ্দিন জানান,সদ্যজাত ওই চার শিশু স্বাভাবিক সময়ের আগে জন্ম নেওয়ায় বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই নবজাতক চার শিশুর মধ্যে দুই আগে মারা গেছে, আর দুই নবজাতকের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে। দ্রুত তাদের কে উন্নত চিকিৎসার জন্য কার্পাসডাঙ্গা মিশন হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিন নবজাতককে দর্শনা আজমপুর গোরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
Leave a Reply