দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক।।
ঝিনাইগাতীতে ৫ বছরেও খাদিজা বেগমের ভাগ্যে জুটেনি সরকারি ঘর। খাদিজা বেগম উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়ের দক্ষিণ ডেফলাই গ্রামের নূর হোসেনের স্ত্রী। নূর হোসেন রোগাক্রান্ত কর্মহীন। ১ ছেলে ৪ মেয়েসহ ৭ সদস্যের পরিবারের বোঝা বহন করতে হচ্ছে খাদিজা বেগমের।
বসতবাড়ির জমিটুকু ছাড়া সহায় সম্বল বলতে আর কিছুই নেই। খাদিজা বেগম বাড়িতে কাপড় সেলাই করে যা আয় হয়, তাই দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে চলে তার সংসার। বসতবাড়ির ঘরটিও বসবাসের অনুপযোগী। অর্থের অভাবে মেরামত করতে পারছেন না। একটি সরকারি ঘর বরাদ্দ চেয়ে গত ৫ বছরে জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহু আবেদন নিবেদন করেছেন, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। প্রায় ৩ বছর আগে খাদিজা বেগম তার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের কাছে একটি ঘর বরাদ্দ দেয়ার জন্য আবেদন করেন।
এ সময় ওই ইউপি সদস্য তার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে খাদিজা বেগম ধারদেনা করে ১৪ হাজার টাকা দেন ওই ইউপি সদস্যকে। কিন্তু এরপরও খাদিজা বেগমের ভাগ্যে জুটেনি সরকারি ঘর। ফিরে পাননি তার দেয়া টাকা। ওই টাকা উদ্ধারের দাবিতে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো কাজ হয়নি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদের বরাবর লিখিত আবেদন করেন তিনি। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, আমি তার কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ধরনের আরো কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply