অনলাইন ডেস্ক।।
সম্প্রতি চীনের জিংজিয়ানে হাজার হাজার মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার তথ্য জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক এক গবেষণা প্রতিবেদন। গতকাল শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জিনজিয়াংয়ের প্রায় ১৬ হাজার তথা মোট মসজিদের ৬৫ ভাগ মসজিদ ধ্বংস করার কথা জানায় অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্রাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই)।
গত তিন বছরেই অধিকাংশ মসজিদ বিধ্বস্ত হয় এবং ৮ হাজার পাঁচ শ মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়। এছাড়া চীনের উরুমকি ও কাশগড় শহরের বাইরের মসজিদও এ থেকে রক্ষা পায়নি। তবে ধ্বংস থেকে রক্ষা পাওয়া অনেক মসজিদের মিনার ও গম্বুজ ভেঙ্গে ফেলা হয়। গবেষণা প্রতিবেদন মতে জিনজিয়াংয়ের আশপাশে ১৫ হাজার পাঁচ শয়ের কম মসজিদ অক্ষত ও ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় আছে।সংখ্যাটি যথাযথ হলে তা হবে ১৯৬০ সালে সাংস্কৃতিক জাগরণে সংগঠিত জাতীয় বিপ্লবের পর মুসলিমদের এবাদতঘরের সর্বনিম্ন সংখ্যা। অপর দিকে একই অঞ্চলের খ্রিস্টানদের গির্জা ও বৌদ্ধদের উপাসনালয় কোনো ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি।প্রতিবেদন মতে, জিনজিয়াংয়ে মুসলিমদের পবিত্র স্থানগুলো মসজিদ, কবরস্থান ও যাতায়াতপথের এক-তৃতীয়াংশ স্থাপনা ইতিমধ্যে ধ্বংস করা হয়। জিনজিয়াংয়ের স্থানীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিলুপ্তির চেষ্টা করছে চীন। বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এড়িয়ে কাজ করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘উইঘুর মুসলিমদের ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার এমনকি খাবারের রীতি পরিবর্তন করে তাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনকে পুনর্গঠনে দমন পক্রিয়া চালাচ্ছে চীন। চীন সরকারের নীতিগুলো তাঁদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে পুরোপুরি বিলুপ্ত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।’তাতে আরো বলা হয়, ‘উইঘুরদের সংস্কৃতিক রক্ষায় অধিকাংশ মুসলিম দেশ চীন সরকারকে চ্যালেঞ্জ করতে ব্যর্থ হয়। এছাড়া জিনজিয়াংয়ের সাংস্কৃতিক বিলুপ্তির অগণিত প্রমাণের পরও নীরব ভূমিকা পালন করছে জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ইউনেরস্কো ও প্রাচীন স্থাপত্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই ও নিউইয়র্ক টাইমস
Leave a Reply