চুয়াডাঙ্গা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে টিনএজার মডেলের আত্মহত্যা

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক।।
চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসিন্দা মাহি। বয়স মাত্র ১৯। বড় মডেল হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চট্টগ্রামের একটি ‘মডেলিং এজেন্সি’র সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। কয়েকটি ফটোসেশনেও অংশ নিতে দেখা যায়। মাত্র ১৯ বছরের সেই তরুণী হঠাৎই নিজের বাসায় আত্মহত্যা করে বসলেন।বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে নিজের রুমের ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন ১৯ বছরের তরুণী মাহি। ঘটনা টের পাওয়ার পর ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে মাহিকে নিয়ে যাওয়া হয় আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ‘মৃত ঘোষণা’ করেন।মাহির বাড়ি চাঁদপুর হলেও তিনি চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে নানাবাড়িতে বসবাস করতেন। জানা গেছে, মাহি নগরীর একটি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। সেই সঙ্গে চট্টগ্রামের উইন্ডোজ মাল্টিমিডিয়া নামে একটি মডেলিং এজেন্সিতে ‘মডেলিং’ করতেন। নগরীর মেহেদীবাগ ন্যাশনাল হাসপাতালের পাশের একটি ভবনের তৃতীয় তলায় প্রতিষ্ঠানটি ‘কার্যক্রম’ চালায় বলে তাদের ফেসবুক পেজ থেকে জানা গেছে। নাসিরাবাদ এলাকার এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মাহি। সম্প্রতি সেই সম্পর্ক ভেঙে যায় বলে শোনা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাহির ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানান, শোবিজ মিডিয়ায় অবস্থান পাকাপোক্ত করতে গিয়ে মাহি একপর্যায়ে মাদকসেবনে জড়িয়ে যায়। তার সঙ্গে কয়েকটি ছেলের সম্পর্কও ছিল। তার পরিবার বিষয়টি টের পেয়ে তাকে ঘরের বাইরে যেতে দিত না। মাহির মামা ঢাকার ডেমরা থানার ওসি তদন্ত মো. সেলিম বলেন, মাহি এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। খুব শান্ত ও ভালো মেয়ে। রাগটা একটু বেশি। আমার বাবার (মাহির নানা) কাছে বান্ধবীর বাসায় যেতে দিতে বলেছিল। কিন্তু তাঁর বাবা করোনার মধ্যে ঘরের বাইরে যেতে মানা করার পর সে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। এর একপর্যায়ে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে কোনো সাড়া না পেয়ে পরিবারের অন্যরা দরজা ভেঙে দেখে, মাহি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। মাহির আত্মহত্যা নিয়ে আমাদের কারো কাছে কোনো অভিযোগ নেই। যার জন্য আমরা মামলায় কারো দোষ নেই বলে উল্লেখ করেছি। অনেকে অনেক কথা বলছে ফেসবুকে ছবি পোস্ট দিয়ে। তারা মূলত আত্মহত্যার ঘটনাটিকে অন্যদিকে মোড় দেওয়ার চেষ্টায় এমন কথা রটাচ্ছে।’চট্টগ্রামের হালিশহর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, মঙ্গলবার জিইসি মোড়ে এক বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য নানাকে বলেছিল সে। কিন্তু তার নানা যেতে মানা করায় রুমে গিয়ে অভিমান করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা।।

আপডেট : ০৪:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

চট্টগ্রামে টিনএজার মডেলের আত্মহত্যা

আপডেট : ০৪:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

অনলাইন ডেস্ক।।
চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসিন্দা মাহি। বয়স মাত্র ১৯। বড় মডেল হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চট্টগ্রামের একটি ‘মডেলিং এজেন্সি’র সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। কয়েকটি ফটোসেশনেও অংশ নিতে দেখা যায়। মাত্র ১৯ বছরের সেই তরুণী হঠাৎই নিজের বাসায় আত্মহত্যা করে বসলেন।বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে নিজের রুমের ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন ১৯ বছরের তরুণী মাহি। ঘটনা টের পাওয়ার পর ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে মাহিকে নিয়ে যাওয়া হয় আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ‘মৃত ঘোষণা’ করেন।মাহির বাড়ি চাঁদপুর হলেও তিনি চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে নানাবাড়িতে বসবাস করতেন। জানা গেছে, মাহি নগরীর একটি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। সেই সঙ্গে চট্টগ্রামের উইন্ডোজ মাল্টিমিডিয়া নামে একটি মডেলিং এজেন্সিতে ‘মডেলিং’ করতেন। নগরীর মেহেদীবাগ ন্যাশনাল হাসপাতালের পাশের একটি ভবনের তৃতীয় তলায় প্রতিষ্ঠানটি ‘কার্যক্রম’ চালায় বলে তাদের ফেসবুক পেজ থেকে জানা গেছে। নাসিরাবাদ এলাকার এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মাহি। সম্প্রতি সেই সম্পর্ক ভেঙে যায় বলে শোনা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাহির ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানান, শোবিজ মিডিয়ায় অবস্থান পাকাপোক্ত করতে গিয়ে মাহি একপর্যায়ে মাদকসেবনে জড়িয়ে যায়। তার সঙ্গে কয়েকটি ছেলের সম্পর্কও ছিল। তার পরিবার বিষয়টি টের পেয়ে তাকে ঘরের বাইরে যেতে দিত না। মাহির মামা ঢাকার ডেমরা থানার ওসি তদন্ত মো. সেলিম বলেন, মাহি এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। খুব শান্ত ও ভালো মেয়ে। রাগটা একটু বেশি। আমার বাবার (মাহির নানা) কাছে বান্ধবীর বাসায় যেতে দিতে বলেছিল। কিন্তু তাঁর বাবা করোনার মধ্যে ঘরের বাইরে যেতে মানা করার পর সে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। এর একপর্যায়ে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে কোনো সাড়া না পেয়ে পরিবারের অন্যরা দরজা ভেঙে দেখে, মাহি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। মাহির আত্মহত্যা নিয়ে আমাদের কারো কাছে কোনো অভিযোগ নেই। যার জন্য আমরা মামলায় কারো দোষ নেই বলে উল্লেখ করেছি। অনেকে অনেক কথা বলছে ফেসবুকে ছবি পোস্ট দিয়ে। তারা মূলত আত্মহত্যার ঘটনাটিকে অন্যদিকে মোড় দেওয়ার চেষ্টায় এমন কথা রটাচ্ছে।’চট্টগ্রামের হালিশহর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, মঙ্গলবার জিইসি মোড়ে এক বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য নানাকে বলেছিল সে। কিন্তু তার নানা যেতে মানা করায় রুমে গিয়ে অভিমান করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা।।