April 25, 2024, 1:43 pm

ঈশ্বরদীতে মুক্তিযোদ্ধা- জনতার ঘোষণা হাবিবের জায়গা হবে না,নাম হলো তার থুথু হাবিব

এস এম রাজ।। গত ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব নির্বাচন উত্তর প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে কটুক্তি করে চ্যানেল-আই এর লাইভ অনুষ্ঠানে থুথু নিক্ষেপ করার প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ঈশ্বরদীর সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানার পরপরই বিচ্ছিন্নভাবে নিজস্ব আঙ্গিকে প্রতিবাদ জানিয়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে থাকে হাবিবকে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ অক্টোবর সকালে মুক্তিযোদ্ধা- জনতা আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা হাবিবুর রহমান হাবিবের কটূক্তি ও থুথু নিক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে ঈশ্বরদীর মাটিতে অবাঞ্চিত ঘোষণা এবং থুথু হাবিব নামে এখন থেকে তার পরিচিতি দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রশিদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান মিন্টু, ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মেয়র আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী মালিথা, ঈশ্বরদী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, সাঁড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক রানা সরদার, দাশুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বকুল সরদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলি, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল ইসলাম হব্বুল, পাকশী ইউপি চেয়ারম্যান এনাম বিশ্বাস, পাবনা জেলা পরিষদ সদস্য শফিউল আলম বিশ্বাস, জাসদ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ বিশ্বাস, ঈশ্বরদী শিল্প বণিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা মির জহুরুল হক পুনু, আব্দুল খালেক মালিথা, শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের মিলন ও রতন, কৃষকলীগ নেতা মুরাদ মালিথা, যুবলীগ নেতা দোলন বিশ্বাস, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাতেন প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, হাবিব একজন অকৃতজ্ঞ বেইমান মোনাফেক স্বার্থবাদী প্রকৃতির রাজনৈতিক ব্যক্তি। সে আওয়ামী লীগের সাথে বেঈমানি করেছে, বিএনপির সাথেও করেছে। প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার আবির্ভূত হওয়ার বিষয়টি একটি চমকপ্রদ ঘটনা। তার যোগ্যতা বলে সে নেতা হয়নি। মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুকম্পায় সে ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলো। নেত্রী তাকে এমপি নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নও দিয়েছিলেন কিন্তু অযোগ্য হাবিব বিএনপি নেতা সিরাজ সরদারের কাছে নির্লজ্জভাবে পরাজিত হয়ে আবার বিএনপিতেই যোগদান করেছে। আবার এখানে এসেও কোনো নির্বাচনেই সে ধানের শীষে ভোট দেয় নাই। অর্থাৎ বিএনপি সাথেও সে বেঈমানী করেছে। যে কারণে এবারের সংসদ উপনির্বাচনে তার পক্ষে কোনো দলীয় নেতা-কর্মী নির্বাচন করেনি। শুধু তাই নয় একটি কেন্দ্রীয় পুলিং এজেন্ট দেয়ার মতো লোক ভাড়া করেও পাইনি। বক্তারা তীব্র প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সমস্ত দিন নিজের ঘরে বসে ফেসবুক লাইভে তিনি আবোলতাবোল কথাবার্তা বলে সময় কাঁটিয়েছে আর মিডিয়ার সামনে নির্লজ্জভাবে অভিযোগ করেছে যে তার নেতা কর্মীদের মারধর করে কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি এবং ব্যাপকভাবে ভোট কারচুপি করেছে। যা জঘন্য মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। পরে হাবিবের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :