April 26, 2024, 8:25 pm

জ্যামের শহর ঢাকা নগরী!

রাশিদা-য়ে আশরার,কবি ও সাহিত্য সম্পাদক দৈনিক পদ্মা সংবাদ।

একসময় ঢাকা ছিল মসজিদের শহর। আর এখন জনসংখ্যার শহর- রিক্সা ও জনসংখ্যার শহর বলা যেতে পারে। প্রতিদিন অগনিত মানুষের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াত। মানুষগুলো পিপীলিকার ন্যায় অবিরত ধুলাবালি, রোদ গরম, ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটে চলছে অবিরাম। বেশিরভাগ মানুষ জীবন ও জীবিকার তাগিদে কেউবা আবার রাজধানী ঢাকা শহর দর্শন করছেন অজানা এক কৌতূহলের বসে!কারণ একটি দেশের প্রাণ কেন্দ্র হচ্ছে সে দেশের রাজধানী।
ছোটবেলায় এমন ও শুনেছি লোকমুখে, ঢাকা শহর না দেখলে মায়ের গর্ভে থাকার সমান। এখন দেশ-বিদেশ আর ঢাকা শহর সহ অবস্থানে- তথ্যপ্রযুক্তি ও জ্ঞান বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষকতায়। মাটিতে গাড়ি বাড়ির বহর,
পানিতে জাহাজ, লঞ্চ, স্টিমার, নৌকা- আকাশপথে উড়োজাহাজ, হেলিকপ্টার, রকেট প্রভৃতি যানবাহন!

আমরা এ শহরের যারা অধিবাসী তাদের এই নগরী সম্পর্কে আলাদা কোন অনুভূতি- উপলব্ধি অথবা কৌতুক নেই! পূর্বেও যেমন চলত এখনো তেমন‌।
ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার পর থেকে অন্যান্য জেলা শহর গুলো বেশ উন্নত হয়েছে যেমন হয়েছে গ্রামীণ জীবন যাপন। শহরে ঘর ভাড়া দিয়ে বিশেষ করে মাস শেষে ঢাকা শহরে যে ঘর ভাড়া,তা গুনতে মাসিক আয়ের অধিকাংশ চলে যায়। আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ বহন করতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে বিধায় মানুষ এখন পাড়ি জমাচ্ছে নিজ এলাকায় বা গ্রামগুলোতে। কৃষিভিত্তিক বা উৎপাদনমুখী আয় করে নিজের চাহিদার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। স্বনির্ভর হচ্ছে নিউজ বসতভিটা এলাকায়, ইতিমধ্যে মধ্যে কৃষি বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে।

শহরের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী জীবন- তেমন কোন
আলাদা উপলব্ধি বা অভিজ্ঞতা অর্জনের নেই। তবে প্রতিদিনই কোনো না কোনো অনিয়ম, অন্যায়-অপরাধ, দুর্ঘটনা বেড়ে চলছে সড়ক দুর্ঘটনা; এগুলো থেকে
ই নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চার হয়। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কবলে রাজধানী ঢাকার বুকে প্রতিদিন অন্যায় অনিয়ম সংঘর্ষ, সংকট- কৃত্রিম সংকট নিত্যনৈমিত্তিক! কখনও মন ভারাক্রান্ত হয় কখনো তীব্র প্রতিবাদ করতে ইচ্ছা হয়। তবে প্রতিবাদের ভাষা গেছে হারিয়ে; প্রতিদিন এত বেশি ঘটনা- দুর্ঘটনা ঘটে যা জনগণকে সচেতন হওয়া ছাড়া কখনই শুধু সরকারের পক্ষে রোধ করা সম্ভব নয়।
ছোট্ট একটি দেশ বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যা। তাই এই দেশটাকে ভালো রাখতে হলে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে আশু সর্তকতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

প্রকৃতিতে গ্রীষ্ম মৌসুম চৈত্রের দাবদাহ জনজীবন অনেকটাই অতিষ্ঠ অসহনীয়; সামনে বৈশাখ-কিছুটা হলেও ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজে প্রকৃতিতে বয়ে আনবে স্বস্তির নিঃশ্বাস! আর চলছে গৌরবান্বিত মহিমান্বিত মাস মাহে রমজান। আসুন সিয়াম সাধনার মাসটি নিজেদেরকে যথাযথভাবে ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে রাখি- ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখি-পাক পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন থাকি। সবাই স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাবার গ্রহণ করুন। নিজের ভালো রাখার দায়িত্ব নিজেরই। নিজে ও নিজের পরিবার সুস্থ ও সুন্দর থাকলে সুস্থ-সুন্দর ভাবে গড়ে উঠবে সমাজ ও দেশ উত্তরোত্তর। নিজের আঙিনা- উঠোন পরিষ্কার রাখলে গড়ে উঠবে সুন্দর জাতি। রমজানুল মোবারক।
২০২২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :