May 8, 2024, 7:01 am

যশোরের ২১ স্থায়ী হাটে পাওয়া যাবে কোরবানির পশু

যশোরের ২১ স্থায়ী হাটে পাওয়া যাবে কোরবানির পশুএ বছর যশোরের ২১ স্থায়ী হাটে বিক্রি হবে কোরবানির পশু। হাটে আসা পশু ঠিকঠাক আছে কিনা তা যাচাই করতে কাজ করছে ২৪টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্থায়ী ২১টি হাটের মধ্যে সদর উপজেলায় চারটি, ঝিকরগাছায় দুইট, শার্শায় দুইটি, মণিরামপুরে তিনটি, কেশবপুরে দুইটি, অভয়নগরে তিনটি, বাঘারপাড়ায় চারটি ও চৌগাছায় একটি রয়েছে। সদর উপজেলার চারটি হাট হচ্ছে, রূপদিয়া, বারীনগর, নিউমার্কেট ও কোদালিয়া। সোম ও শুক্রবার রূপদিয়া, রবি ও বৃহস্পতিবার বারীনগর, শনি, সোম, বুধ ও শুক্রবার নিউমার্কেট এবং সোমবার কোদালিয়ার পশুহাট বসে। ঝিকরগাছার দুইটি হাট হচ্ছে, ঝিকরগাছা বাজার ও ছুটিপুর। বৃহস্পতি ও রবিবার ঝিকরগাছা এবং সোমবার ছুটিপুরের হাট বসে। শার্শার দুইটি হাট হচ্ছে, নাভারণ ও সাতমাইল। বুধবার নাভারণ এবং শনি ও মঙ্গলবার সাতমাইলের হাট হয়। মণিরামপুরের তিনটি হাট হচ্ছে, মণিরামপুর, রাজগঞ্জ ও নেহালপুর। শনি ও মঙ্গলবার মণিরামপুর, সোম ও বুধবার রাজগঞ্জ এবং সোম ও বৃহস্পতিবার নেহালপুরের পশুহাট বসে। কেশবপুরের দুইটি হাট হচ্ছে, কেশবপুর ও সরসকাটি। সোম ও বুধবার কেশবপুর এবং রোববার সরসকাটির পশুরহাট হয়। অভয়নগরের তিনটি হাট হচ্ছে, নওয়াপাড়া পৌরসভা, মরিচা ও নাওলি। শনি ও মঙ্গলবার নওয়াপাড়া, বুধবার মরিচা এবং ঈদের আগের দিন নাওলিতে পশুরহাট বসবে। বাঘারপাড়ার চারটি হাট হচ্ছে, চাড়াভিটা, ভাঙ্গুড়া, নারিকেলবাড়িয়া ও খাজুরা ভাটার আমতলা। বুধবার চাড়াভিটা, সোমবার ভাঙ্গুড়া, মঙ্গলবার নারিকেলবাড়িয়া এবং রবি ও শুক্রবার খাজুরা ভাটার আমতলায় পশুরহাট বসে। চৌগাছার একটি হাট হচ্ছে, চৌগাছার পৌরসভার বেলের মাঠ। রবি ও বুধবার এই হাট হয়।

এসব হাটে ২৪ টি মেডিকেল টিম কাজ করবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদুল হক। তার দেওয়া তথ্যমতে, সদর উপজেলায় সাতটি, ঝিকরগাছায় দুইটি, শার্শায় দুইটি, মণিরামপুরে তিনটি, কেশবপুরে দুইটি, অভয়নগরে তিনটি, বাঘারপাড়ায় চারটি ও চৌগাছায় একটি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, স্থায়ী হাটের পাশাপাশি কোরবানির দিন কাছাকাছি এলে আরো কিছু অস্থায়ী হাট বসে। সেখান থেকেও মানুষ কোরবানির পশু কেনেন।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের দেয়া তথ্যানুযায়ী, এ বছর যশোরে সর্বমোট পশু উৎপাদন হয়েছে ৯৫ হাজার ৭শ’ ১০ টি। এবার কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৯১ হাজার ১শ’ ৮৮ টি পশুর। উদ্বৃত্ত থাকবে ৪ হাজার ৫শ’ ২২ টি।
যশোরে উৎপাদিত পশুর মধ্যে রয়েছে ২৫৬৮০ টি ষাঁড়, ২০৯৩ টি বলদ, ১৩৯৭ টি গাভী, ৬৫৯৮৩ টি ছাগল ও ৫৫৭ টি ভেড়া। পাশাপাশি কোরবানির জন্য চাহিদাকৃত ৯১১৮৮ টি পশুর মধ্যে রয়েছে ষাঁড় ২৪৪৮০ টি, বলদ ২০৭৮ টি, গাভী ১৩৯৭ টি, ছাগল ৬২৬৭৬ টি ও ভেড়া ৫৫৭ টি।

সদর উপজেলায় ৩৫৮৭ টি ষাঁড়, ৫২৯ টি বলদ, ৩১৭ টি গাভী, ১৫৯৪৮ টি ছাগল ও ৭২ টি ভেড়া উৎপাদন হয়েছে। ঝিকরগাছায় ৩১১৭ টি ষাঁড়, ৩৬২ টি বলদ, ২২৭ টি গাভী, ৮৫৭৩ টি ছাগল ও ৭৩ টি ভেড়া, শার্শায় ২৩৫৩ টি ষাঁড়, ১৬৬ টি বলদ, ১০৯ টি গাভী, ৭০২০ টি ছাগল ও ৭০ টি ভেড়া, মণিরামপুরে ৪৬১০ টি ষাঁড়, ১৮০ টি বলদ, ১০৮৭০ টি ছাগল ও ১০ টি ভেড়া, কেশবপুরে ৩৮৭২ টি ষাঁড়, ২৬৫ টি বলদ, ১১ টি গাভী, ৬৯৬১ টি ছাগল ও ৮১ টি ভেড়া, অভয়নগরে ২৬৯৫ টি ষাঁড়, ১৪৫ টি বলদ, ১৩০ টি গাভী, ৪৫০৫ টি ছাগল ও ১৫ টি ভেড়া, বাঘারপাড়ায় ২৬৫৫ টি ষাঁড়, ১৪৫ টি বলদ, ২৩০ টি গাভী, ৪৯৭৫ টি ছাগল ও ২০৫ টি ভেড়া ও চৌগাছায় ২৭৯১ টি ষাঁড়, ৩০১টি বলদ, ৩৭৩ টি গাভী, ৭১৩১ টি ছাগল ও ৩১ টি ভেড়া পালন করেছেন খামারিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :