April 20, 2024, 8:59 pm

শীতের বোলপুর

সংগ্রাম মিত্র ( বোলপুর , শান্তিনিকেতন )।।
করোনা প্রতিকূলতা কাটিয়ে প্রতিটি মানুষ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চাইছেন যে যার মতো করে । যাঁরা চাকুরীজীবী তাঁদের হাঁড়িতে টান না পড়লেও বিনোদোনের লেশ মাত্র ছিল না প্রায় তিনটি বছর তা কাছে বা দূরে ۔۔۔।গ্রীষ্মে বা শীতের ছুটি কাটাতে। ভ্রমণপিপাসু মানুষ জন গ্রীষ্ম ছেড়ে শীতের ছুটি কাটাতেই বেশি পছন্দ করেন , তার একটিই কারণ জমিয়ে খাওয়া দাওয়া । শীত মানেই দেদার খাওয়া দাওয়া।
কলকাতা বা পার্শবর্তী জেলার মানুষ এখন বেশি ঝোঁক পাহাড় কিম্বা সমুদ্র। আবার একটি বড়ো অংশ চান দুটিই এড়িয়ে একটু আলাদা পরিবেশ। সে বিচারে প্রথম পছন্দ বীরভূম । আর বীরভূম মানেই বোলপুর (শান্তিনিকেতন)। দু’দিনের কনকনে হাওয়ায় ঠান্ডার কাঁপুনি ভালই সেজে উঠেছে শান্তিনিকেতন।
শান্তিনিকেতন অন্য আবেগের জায়গা কবি গুরুকে চিনি বা না চিনি। শান্তিনিকেতনের বিকল্প নেই। কবি সাহিত্যিক শিল্পী হলে তো কথায় হবে না। এখন তাঁদের মাতাল করা জায়গা গুলি সোনাঝুরি , প্রকৃতি ভবন , প্রান্তিক , ভুবন ডাঙ্গার মাঠ , কোপাই ۔۔۔সব ছুঁয়ে ছুঁয়ে
শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটে পর্যটকেরা।
শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটে পর্যটকেরা।
জাঁকিয়ে শীত পড়তেই পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করেছে বোলপুর শান্তিনিকেতন জুড়ে। ট্রেনের টিকিটেও তৈরি হয়েছে হাহাকার। সব মিলিয়ে শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমাচ্ছেন বোলপুর শান্তিনিকেতনে।
শীত মানেই দেদার খাওয়া দাওয়া, কেনাকাটা, বেড়াতে যাওয়া। দু’দিন ধরে ফের কনকনে হাওয়ায় ঠান্ডার কাঁপুনি ভালই টের পাওয়া যাচ্ছে। সেই আমেজ নিতে সোনাঝুরির খোয়াইয়ের হাট, কোপাই নদীর পাড়ে কেনা-কাটার সাথে বাউল বা আদিবাসী নৃত্যে একবার করে মাতিয়ে নিতে চান অনেকেই। বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবন, সৃজনী শিল্প গ্রাম, ডিয়ার পার্ক প্রভৃতি জয়াগায় এখন রোজই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।
স্বভাবতই বেড়েছে ট্রেনের টিকিটের সমস্যা , চড়াদামে হোটেল রিসর্টের মালিক কর্মচারীরা নিজেদের মেজাজেই চলছেন |
চাহিদা এতটাই যে বোলপুরগামী প্রায় সব ট্রেনেই লম্বা ‘ওয়েটিং লিস্ট’। কলকাতা থেকে বোলপুর হয়ে যাওয়া দূরপাল্লা ট্রেনগুলিতেও টিকিট নেই। এমনকি চড়া ভাড়া হওয়া সত্ত্বেও সদ্য চালু হওয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেও শুক্রবার, শনি, রবিবার-সহ পরের সপ্তাহে কার্যত টিকিট নেই বোলপুর যাওয়ার।
পর্যটকদের সাপে বর সামনে দুটো ছুটি ২৩ ও ২৬ জানুয়ারি
বিশেষ করে সোমবার ২৩ জানুয়ারি হওয়ায় শনি, রবি ও সোমবারের ছুটিতে পর্যটক উপচে পড়ার আশা করছে বোলপুর-শান্তিনিকেতনের হোটেল-রিসর্টগুলি। হোটেল-লজ-রিসর্টের ঘরে ফাঁকা পাওয়া কার্যত অসম্ভব। কোথাও ঘর পাওয়া গেলেও দর অত্যন্ত বেশি।“জাঁকিয়ে শীত পড়তেই পর্যটককেরা ভিড় করতে শুরু করেছেন। তাতে বাজার গত দু’বছরের তুলনায় অনেক ভাল তো নিশ্চয়ই। “শীতে শান্তিনিকেতনের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে কে না চায়।”

গত দু’বছর অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে এই মরসুমে পর্যটকদের জোয়ার নামায় হোটেল ছাড়াও বোলপুর শান্তিনিকেতনের আরও নানা ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। ছোট গাড়ির থেকে , টোটো চালকদের কদর একটু বেশি কারণ কম যানজটে পড়তে হয় অলিগলি ঘুরিয়ে নিতে পারে।
এই সুযোগে কবিদের কবিতা পাঠ সাহিত্য আড্ডা বেশ বেশ আনন্দ ভাগ করে নিতে আসছেন অনেকেই ۔۔۔۔।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :