ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে এলজিইডির অর্থয়নে নির্মিত রাস্তাগুলো ভেঙ্গে পুকুরে বিলীন
হচ্ছে। অথচ দেখার কেও নেই। রাস্তা নির্মানের সময় পুকুরের ভাঙ্গন রোধে
পাইলিং না করায় অল্প দিনে অনেক রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে
জেলার ৬ উপজেলার বহু রাস্তা পুকরের পাশ দিয়ে নির্মিত। প্রথম ২/১ বছর
রাস্তাগুলো ভাল থাকলেও পুকুরের ভাঙ্গন শুরু হলে ধীরে ধীরে রাস্তাগুলো পুকুরে বিলীন
হয়। এলজিইডির প্রকৌশলীরা বলছেন, গ্রামীন এ সব রাস্তা তৈরীর পর টিআর
কাবিখার আওতায় ইউপি চেয়ারম্যানদের রক্ষনাবেক্ষনের বিধান রয়েছে। গ্রামীন
এ সব রাস্তার ভাঙ্গন রোধে সরকারী কোন অর্থ বরাদ্দ থাকে না। ফলে এলাকার
চেয়ারম্যানদেরকেই রাস্তার ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্তু বেশির ভাগ
চেয়ারম্যানই এ ব্যাপারে উদাসিন। ঝিনাইদহের সদর উপজেলার হলিধানী থেকে
খাড়াগোদা ভায়া বাজারগোপালপুর রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পুকুর রয়েছে। এ
সব পুকুরের মধ্যে রাস্তাগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। সদরের বংকিরা স্কুল মোড় থেকে
হাজরা গ্রাম পর্যন্ত ও বংকিরা গ্রামের মাহবুব মাষ্টারের বাড়ির কাছের রাস্তা
পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে। আসাননগর গ্রামের মধ্যেও তমরেজের বাড়ির কাছের
রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে পড়েছে। এ ভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীন রাস্তা
ভেঙ্গে পুকুরে বিলীন হচ্ছে বলে অভিযোগ। হলিধানী গোপালপুর সড়কে
প্রতিদিন শত শত ছোট বড় যানবাহন মৃত্যু ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে।
হলিধানীর মেম্বার তাইজুল ইসলাম জানান, ব্যাস্ত এই রাস্তাটি খানাখন্দে
ভরপুর। বিশেষ করে হলিধানী মাদ্রাসার পুকুরে রাস্তাটি বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
এতে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে মানুষ। হলিধানী ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি দ্রæত রাস্তাটি মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষের
কাছে দাবী জানিয়েছেন।
Leave a Reply